নিজস্ব সংবাদদাতা: শিকারিদের আটকাতে ভোর বেলা থেকে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বনকর্মী ও পুলিশ। দু-এক জন শিকারি সাইকেলে করে প্রবেশ করতে গেলে তাদের বাধা পেতে হয়। ফিরে যেতে হয় ওখান থেকে। বিভিন্ন জায়গায় এভাবে বাধা পেয়ে অবশেষে পুলিশ এবং বন কর্মীদের ওই রাস্তাতেই ঠাঁই দাঁড় করিয়ে জমির আল ধরে তারা প্রবেশ করল জঙ্গলের গভীরে। সকাল দশটা পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে কোনও শিকারির দেখা না মিললেও দুপুরের সময় শতাধিক শিকারির দেখা মেলে জঙ্গলে।
বুধবার মেদিনীপুর সদরে প্রথম অভিযান ছিল চাঁদড়া রেঞ্জের ডালকাটির জঙ্গলে। আগে থেকেই বিভিন্ন ভাবে সচেতনতামূলক প্রচার করেছে বনদপ্তর। বন্যপ্রাণ শিকার না করার বার্তা নিয়ে যৌথ বন পরিচালন কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। অরণ্যের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ রুখে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল বনদপ্তর ও পুলিশের।
/anm-bengali/media/media_files/S31t3Wfl8ZUKULlyP2Kc.jpg)
ভোর থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় নাকা চেকিং করে পুলিশ ও বনকর্মীরা। জঙ্গলের মাঝেও চলে টহল। বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদেরও নজরদারি ছিল। ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে দেউলডাঙ্গা এলাকায় শিকারিরা পৌঁছালে তাদের পথ আটকায় বনকর্মীরা ও পুলিশ। ওখান থেকেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়। তবে পুলিশ ও বনদপ্তরের চোখকে ফাঁকি দিয়ে একদল শিকারি ঢুকে পড়ে জঙ্গলে। এদিন কার্যত এই ভাবেই নাস্তানাবুদ হতে হয় বনকর্মী ও পুলিশ কর্মীদের।