নিজস্ব সংবাদদাতা: জয়নরের নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিস্ফোরক সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সেই ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে টাইমলাইন তৈরি করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ অনুসারে জানা গিয়েছে, মহিষমারি বাজারে মালখানার দোকানে কাজ করছে অভিযুক্ত। বিকেল ৫টা বেজে ১০ মিনিট নাগাজ ওই নাবালিকা তার এক বান্ধবীর সঙ্গে করে ওই দোকান পেরিয়ে যায়। অভিযুক্ত আড়চোখে দেখে। নাবালিকা কোন দিকে যাচ্ছে সেটা দেখার পর অভিযুক্ত নিজের সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু তারপরে কোথাও সিসিটিভি নেই, তাই পুলিশ পরের ঘটনা জানতে চায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু থেকে পুলিশ গুরুত্ব দিলেন, মেয়েটার এই পরিণতি হতো না। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেনি। অন্যদিকে, হাইকোর্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিচারপতি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ভর্ৎসিত হয় পুলিশ। রাজ্যের তরফে বলা হয় কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। এই মামলায় বিচারপতি বলেন, নির্যাতিতার বয়স ১০ বছর। স্বাভাবিকভাবেই পকসো আইন যুক্ত হওয়ার কথা। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “সুরতহাল বা ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেও কেন আপনারা পকসো যুক্ত করেননি?”