নাইটক্লাবের ছাদ ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু ৯৮ জনের! বিস্তারিত জানুন
হাজার হাজার চাকরি বাতিল বাঁচাতে মাঠে নামল রাজ্য!
এবার ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, দুর্নীতির অভিযোগে নতুন করে চিন্তা
ফের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ডাক ট্রাম্পের, চীনকে তুলোধোনা! বললেন ‘অনেক হয়েছে, এবার বদলা নেব'
এম্বুলেন্সে গুলি, ১৫ জন নিহত : তদন্ত চলছে, জনুন বিস্তারিত
ট্রাম্প - শুল্ক বৃদ্ধির হুমকিতে চীনের ঘুম হারাম!
চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে পথে তৃণমূল, আজ কলকাতায় মিছিল, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুক্রবার
"চীন ছাড়ো, আমেরিকায় তৈরি করো"— ট্রাম্পের বার্তা! ভারী শুল্ক আসছে, কাদের বলল? জানুন
ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ - চীন রেগে গেছে, অন্য দেশগুলো চাইছে চুক্তি

বন দফতরের বার্তা মেনেই রক্তপাতহীন শিকার উৎসব মেদিনীপুরে

কথা রাখল শিকারিরা।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-04-03 at 6.01.59 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি: উৎসবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বনকর্মীরা। শিকার উৎসব যাতে রক্তপাতহীন হয় সেই বার্তা নিয়ে মোটর সাইকেল মিছিলও করেছিল বনকর্মীদের সংগঠন। দিনশেষে মেদিনীপুর সদরের সবচেয়ে বড় শিকার উৎসব হল রক্তপাতহীনভাবে। 

বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর রেঞ্জের জামশোলে ছিল শিকারের নির্ধারিত দিন। সেখানে ভিন জেলা থেকেও শিকারিরা যোগ দেন। শিকার উৎসব উপলক্ষ্যে ওই এলাকায় এক প্রকার মেলা বসে গিয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার ৪০টি এলাকায় নাকা পয়েন্ট করে পুলিশ ও বনকর্মীরা। সামিল হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও। জঙ্গল পথে বসানো হয়েছিল বিভিন্ন ড্রপ গেট। তা সত্ত্বেও প্রবেশ করেছিল বেশ কিছু শিকারি যা বন দফতরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে। তবে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ একেবারে ছিল না বললেই চলে। ফলে বিগত বছরগুলির থেকে অনেকটাই কম শিকারি ছিল। অনেক সময় রাস্তায় শিকারিদের দেখতে পেয়ে বনকর্মীরা তাদের বার্তা দেন বন্যপ্রাণী হত্যা না করার। তারাও কথা দিয়েছিল, উৎসবে জমায়েত করবে তবে কোনও বন্যপ্রাণী মারবে না। দিনশেষে সেই কথাই যেন রাখল শিকারিরা। 

বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে শিকার উৎসবের বহু আগে থেকেই আদিবাসী সমাজের মোড়ল, যৌথ বনপরিচালন কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি মাইকিং করে প্রচার চালিয়েছিল বন দফতর। বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে শিকারিদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে। যদিও শিকারিদের দাবি, তারা বছরে একবার আসে এই জঙ্গলে। বন্যপ্রাণ হত্যা না করে জঙ্গলে ঘুরবে তারা। বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে বন দফতরের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'উলফ'-এর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। আগের থেকে শিকারির সংখ্যাও অনেক কমেছে বলে মানছে পশুপ্রেমি সংগঠনগুলি। মেদিনীপুরের রেঞ্জার শান্তনু কুলভি বলেন, "আমরা বিভিন্নভাবে বার্তা দিয়েছিলাম রক্তপাতহীন উৎসব পালনের জন্য। কোনও বন্যপ্রাণী হত্যা হয়নি। অনেকেই একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমায়েতে আনন্দ করে ফিরে গিয়েছেন"।

elephant