নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: সোমবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০০০ টাকা করে ট্যাবের টাকা পাওয়ার পরেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ২০০০ পরীক্ষার্থী বসলো না উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০১৬৪ জন যার মধ্যে ছাত্র ১৩৯১২ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১৬২৫২ জন। মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭১টি।
/anm-bengali/media/media_files/D9ddYXHE68UrPrzXRl6l.jpeg)
জেলা শিক্ষা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই জেলায় ট্যাব কেনার টাকা পেয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ৩২ হাজার ২৪৮ জন ছাত্রছাত্রী। রেজিস্ট্রেশনের পর 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও প্রায় ২০০০ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিতে বসলো না।
যদিও এই বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, বেশ কিছু ছাত্রের পরিবারে আর্থিক অনটন থাকার কারণে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু ছাত্রী বিয়ে করেছে। তবে কি পড়াশুনোর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া এই ট্যাবের টাকা জলে গেলো? জেলায় কুলবেড়িয়া ভীমদেব আদর্শ বিদ্যাপীঠে ৩০৮ জন ছাত্র-ছাত্রী ট্যাব কেনার টাকা পেলেও পরীক্ষায় বসেছে ২৮৮ জন। বহিচবেড়িয়া হাইস্কুলে ৬৩ জন ট্যাব কেনার টাকা পেলেও পরীক্ষায় বসেছে ৫৯ জন। ময়না আদর্শ বিদ্যায়নে দ্বাদশ শ্রেণির মোট ১১৩ জন ট্যাব কেনার টাকা পেলেও পরীক্ষা দিল ১০১ জন। এছাড়াও রয়েছে এমন অনেক স্কুল।
কুলবেড়িয়া ভীমদেব আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরেও ছাত্রীরা পালিয়ে বিয়ে করছে এবং পারিবারিক আর্থিক সমস্যা থাকার কারণে বেশ কিছু ছাত্র ভিন রাজ্যে কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছে। মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে"। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অপর্না ভট্টাচার্য বলেন, "প্রায় ২০০০ পরীক্ষার্থী এই বছর রেজিস্ট্রেশন করার পরেও পরীক্ষা দেয়নি। তবে এই মুহূর্তে সঠিক কারণ বলতে পারছি না। আশা রাখছি আগামী দিনে সরকার বিষয়টা তদন্ত করবে"।