নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের একবার বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেল ছাত্র। ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক যুবক। মঙ্গলবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়িতে। মৃত কিশোরের নাম মেঘনাথ দাস। ধূপগুড়ি পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল সে। এদিকে দীপঙ্কর রায় নামে এক যুবক এখনও নিখোঁজ। তার খোঁজে নদীতে তল্লাশি চালানো হলেও খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দামবাড়ি এলাকায় জলঢাকা নদীতে পাঁচ বন্ধু মিলে স্নান করতে নামে। আচমকাই জলের স্রোতে দুই কিশোর তলিয়ে যায়। বাকি তিনজন ডাঙ্গায় উঠে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। এরপর নদীতে তল্লাশি চালিয়ে একজনকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ বিশাল পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। নদীতে নেমে কয়েক ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালানো হলেও নিখোঁজ কিশোরের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে মৃত কিশোরের কাকা শ্রীদাম দাস বলেন, “আমার ভাস্তা বাড়িতে ছিল। সেই সময় কয়েকজন বন্ধু মিলে ফোন করে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমাদের কাছে জলের ভেসে যাওয়ার খবর আসলে ঘটনাস্থলে এসে দেখি ভাস্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে হাসপাতালে এসে দেখি ভাস্তার মৃত্যু হয়েছে। আমার ভাস্তাকে মেরে ফেলা হয়েছে”।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।