নিজস্ব সংবাদদাতা: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আসন্ন। কৃষ্ণপক্ষ বা পিতৃপক্ষের অবসান এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনায় অমাবস্যার একটি নির্দিষ্ট ক্ষণকে সনাতন ধর্মে বলা হয়ে থাকে মহালয়া। সাধারণত মহালয়া মানেই দেবীপক্ষের সূচনা। তবে জানেন কি দেবী দুর্গার সাথে মহালয়ার কি সম্পর্ক?
মহালয়া শব্দটির আক্ষরিক অর্থ – মহান যে আলয় বা আশ্রয়। কিংবা, মহালয়াকে মহত্ত্বের আলয়ও বলা যেতে পারে। ‘মহালয়া’ শব্দটি আসলে স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রসঙ্গে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বলা হয়েছে, যে ক্ষণে পরমাত্মায় অর্থাৎ পরব্রহ্মে লয় প্রাপ্তি ঘটে সেটিই হল মহালয়। কেননা, পরমাত্মাই হল পরব্রহ্ম। আর নিরাকার ব্রহ্মের আশ্রয়ই হল মহালয়। আবার, শ্রী শ্রী চণ্ডিতে ‘মহালয়’ বলতে ‘পিতৃলোককে’ বোঝানো হয়েছে।
File Picture
সনাতন ধর্ম অনুসারে এই বিশেষ দিনে প্রয়াত আত্মারা মর্ত্যে সমাবেশ করেন। তাকেই মূলত ‘মহালয়’ বলা হয়। এই মহালয় থেকেই মহালয়া শব্দটির আগমন ঘটেছে।
এই মহালয়ায় কৃষ্ণপক্ষের অবসানের পরই শুরু হয় শুক্লপক্ষ। পিতৃপক্ষের অবসানের মধ্যে দিয়ে অন্ধকার অমাবস্যার সীমানা পেড়িয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাকেই সেই মহান আশ্রয় বলা হয়ে থাকে এবং আঁধার থেকে আলোকে উত্তরণের লগ্নটিই মহালয়া রূপে পরিচিত হয়।
File Picture
অর্থাৎ দেবী দুর্গাই আমাদের সেই পরম আশ্রয়। যেখানে নির্বিকারে আমরা সন্তানরা থাকতে পারি, আশ্রয় নিতে পারি। আর মহালয়ার দিন থেকেই মাতৃ আরাধনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় মায়ের আশ্রয়ে থাকা।