নিজস্ব সংবাদদাতা: এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যজুড়ে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। যদিও চরম তাপপ্রবাহ দেখা না গেলেও, বেলা বাড়তেই বাঙালির কপালে ঝরছে ঘাম। গরমের দাপটে রাস্তার ঠান্ডা পানীয় কিংবা ছাতার তলাও যেন আর আরাম দিচ্ছে না। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই রাজ্যের আবহাওয়ায় বদল আসতে পারে। সোমবার থেকে রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহবিদদের মতে, এই বৃষ্টির পেছনে কাজ করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় পাঁচটি ঘূর্ণাবর্ত। রাজস্থান ও অসম সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতেও আরও দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন এলাকাতেও একটি ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়েছে। এর সঙ্গে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে।
/anm-bengali/media/media_files/5fJ6SM8GrBWiaj7oOoNJ.jpg)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়ার সঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাও থাকতে পারে সেই তালিকায়।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছয় ৩৩.২ ডিগ্রিতে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫৭ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হলেও, বজ্রবিদ্যুৎ ও দমকা হাওয়ার কারণে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।