নিজস্ব সংবাদদাতা : আজ ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের ফলে কার্যত স্তব্দ হয়ে গেল মুর্শিদাবাদ। ফের একবার চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যর্থতার ছবি ভেসে উঠলো এই বাংলায়। এই ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের ফলে চরমভাবে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। পরিস্থিতি একসময় এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরাসরি বিএসএফ-এর দ্বারস্থ হতে হয় প্রশাসনকে। এই ঘটনার সূত্রপাত হয় আজকে প্রায় দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাদ। প্রায় ৫০০০ জনের একটি বিশাল জমায়েত পূর্ব রেলের আজিমগঞ্জ-নিউ ফরাক্কা শাখার ধুলিয়ান গঙ্গা স্টেশনের কাছে রেলপথের বাইরে, ট্রেন চলাচলে তীব্র বাধার সৃষ্টি করে। এর ফলে ১৫৬৪৪ ডাউন কামাখ্যা-পুরি এক্সপ্রেসের গতি আটকে যায়। পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, এরপরেই ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। ধুলিয়ান গঙ্গা ও নিমতিতা স্টেশনের মধ্যবর্তী রেলপথে এই বিশাল সংখ্যক মানুষের অবরোধের জেরে, মালদা রেল স্টেশনেও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এই বিষয়ে পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চালানো হয়েছে আর কিছু ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/11/DurXnGKicfMWO252Zeke.jpeg)
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের সিপিআরও দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন, ''আজিমগঞ্জ-নিউ ফরাক্কা শাখার ধুলিয়ান গঙ্গা ও নিমতিতা স্টেশনের মাঝে রেলপথে অবরোধ চলায় ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। অবরোধকারীরা গেট নম্বর ৪৩-কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, তবে রেললাইন এখনো অক্ষত রয়েছে।'' এরপরেই জেলার প্রশাসনের অনুরোধে বিএসএফ ব্যবস্থা নেয়। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি নীলোৎপাল কুমার পাণ্ডে জানান, ''পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিএসএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।'' মুর্শিদাবাদের এই ঘটনার আঁচ যাতে ঝাড়খণ্ডে না ছড়িয়ে পরে সেইদিকেও বিশেষ নজর দেয় ঝাড়খন্ড প্রশাসন। এই হিংসার ঘটনার পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ঝাড়খণ্ড-বাংলার সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও পাকুড়ের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর টহল চলছে।