মা পা চেপে ছিল, বাবা বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছিলেন কিশোরীকে! প্রসূনের স্বীকারোক্তিতে শিউরে উঠছেন তদন্তকারীরা

মুখে বালিশ চাপা দিয়ে কিশোরী মেয়েকে খুন করেছিলেন প্রসূন দে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
prasun dey

নিজস্ব সংবাদদাতাট্যাংরাকাণ্ডে নতুন মোড়। স্ত্রী ও বৌদিকে খুনের কথা আগেই স্বীকার করেছিলেন ধৃত প্রসূন দে। এবার পুলিশের জেরায় নিজের মেয়েকেও হত্যার কথা স্বীকার করলেন তিনি। এই স্বীকারোক্তি শুনে শিউরে উঠেছেন তদন্তকারীরাও।পুলিশ সূত্রে জানা গেছেধৃত প্রসূন দে স্বীকার করেছেনপ্রথমে খুন করা হয় তাঁর কিশোরী মেয়ে প্রিয়ম্বদাকে। ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ানোর পরও মেয়েটি বেঁচে ছিল। এরপর স্ত্রী রোমির সঙ্গে মিলে তাঁকে হত্যা করেন প্রসূন। স্বামীর নির্দেশে রোমি মেয়ের পা চেপে ধরেনআর প্রসূন মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।এরপর একে একে স্ত্রী রোমি এবং বৌদি সুদেষ্ণার গলা ও হাতের নলি কেটে হত্যা করা হয়। খুনের পর থেকেই প্রসূন দে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে আইনজীবী নেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তবে প্রসূন সাফ জানিয়ে দেনতিনি কোনও আইনজীবী রাখতে চান নাএমনকি সরকারি আইনজীবীও নয়। 

 p dey

তিনি নিজের পক্ষে কোনও যুক্তিও খাড়া করতে চান না।লিগ্যাল এইড থেকে নিযুক্ত আইনজীবী জানিয়েছেন প্রসূন কোনও ওকালতনামায় সই করেননি। বিচারক বিনামূল্যে সরকারি আইনজীবী দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। বিচারক তাঁকে প্রশ্ন করেনআপনার কিছু বলার আছেপ্রতিবারই প্রসূনের একটাই উত্তরনা।”আদালত তাঁকে ৬ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।