নিজস্ব সংবাদদাতা : নতুন শুল্কের জেরে আবারও বিশ্ব অর্থনীতি বড় ধাক্কার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একসঙ্গে একাধিক দেশের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও আমেরিকার পণ্যের উপর নতুন করে শুল্ক বসিয়েছে। এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্ব বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/09/XLatqocWcOhU4UwUi6Rd.jpg)
বিশ্ববিখ্যাত বিনিয়োগ সংস্থা জেপি মরগান জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মন্দার সম্ভাবনা এখন ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগে ছিল ৪০ শতাংশ। সংস্থার মতে, এই শুল্কনীতি ব্যবসায়িক আস্থা নষ্ট করছে, সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে দিচ্ছে এবং বাজারে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। এমন অবস্থায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও থমকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে তারা।
শুধু জেপি মরগান নয়, গোল্ডম্যান স্যাক্স, এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল, বার্কলেজ, ইউবিএস-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থাও সতর্কবার্তা দিয়েছে। তাদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর নীতির ফলে শুধু আমেরিকা নয়, গোটা বিশ্ব অর্থনীতিই চাপে পড়তে পারে। অনেকেই বলছে, মার্কিন নীতিগুলো এখন আর ব্যবসাবান্ধব নেই, বরং তা বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/03/1000180670-983771.jpg)
এই পরিস্থিতির প্রভাব সরাসরি পড়েছে শেয়ারবাজারে। বছরের শুরু থেকেই আমেরিকার বড় শেয়ারসূচক S&P 500 প্রায় ৮ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। অনেক বড় ব্রোকার কোম্পানি তাদের আগের ভবিষ্যদ্বাণী বদলে বলছে, মার্কেট ততটা ভালো থাকবে না। ইউবিএস নামের এক বড় সংস্থা তাদের মত বদলে বলেছে, মার্কিন শেয়ারবাজার এখন আর ‘আকর্ষণীয়’ নয়, বরং ‘সাধারণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। এমনকি কেউ কেউ আশঙ্কা করছে, আমেরিকার অর্থনীতি ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে পারে।
তবে কিছুটা আশার আলোও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে পারে। জেপি মরগান এবং গোল্ডম্যান স্যাক্সের মত প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করছে, এই বছর অন্তত দুই থেকে তিনবার সুদের হার কমানো হতে পারে। এতে হয়তো কিছুটা স্বস্তি মিলবে বাজারে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/03/1000180672-117187.jpg)
বিশ্বের বাজার এখন নজর রেখেছে হোয়াইট হাউসের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে। ট্রাম্প যদি এই শুল্কনীতি থেকে সরে না আসেন, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।