তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এবার নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের পদপিষ্টের ঘটনায় ট্যুইট করে বার্তা দিলেন

কি বললেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি?

author-image
Aniket
New Update
y

File Picture

 

 

নিজস্ব সংবাদদাতা: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের পদপিষ্টের ঘটনায় ট্যুইট করে বার্তা দিলেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেছেন, "সম্প্রতি দিল্লির ট্র্যাজেডি আমাদের সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। একজন সহনাগরিকেরও প্রাণহানি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এই ধরনের ঘটনা এড়ানো উচিত ছিল। অতীতের ঘটনাগুলোর পরিসংখ্যান টেনে এনে বর্তমান পরিস্থিতিকে ছোট করে দেখার কোনো মানে হয় না। ভুল হলে তা ভুল বলা এবং দায়িত্বশীলদের জবাবদিহির আওতায় আনা আমাদের কর্তব্য। রেলের পরিকাঠামো ও পরিষেবায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষিত থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে বাধ্য। ট্রেনের কামরাগুলোর সংরক্ষিত ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও জেনারেল টিকিট বা বিনা টিকিটে যাত্রীরা রিজার্ভ কামরায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। এটি রেল পুলিশের ব্যর্থতা এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলারই পরিচায়ক। ভারতের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন রেলের উপর নির্ভরশীল। এটি কোনো ঠুনকো ব্যবস্থা হতে পারে না। যদি এখানে কোনো অন্তর্ঘাত থাকে, তবে তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। প্ল্যাটফর্ম হঠাৎ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত এবং তার ঘোষণার ধরন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রেল কর্তৃপক্ষের উচিত এই বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া। বিহার ও উত্তর প্রদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক। সংরক্ষিত কামরায় প্রবেশের জন্য ট্রেনের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা নয়, রেলের সম্পত্তির ওপর সরাসরি আক্রমণ। যারা এই ধরনের ভাঙচুরে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে তাদের বাড়িঘর বিক্রি করেও রেলের ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত। দেশের সম্পত্তি নষ্ট করে কেউ তীর্থযাত্রী হতে পারে না। ভারতের রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিষেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের। রেলওয়ে স্টেশনে বিনা টিকিটে কীভাবে লোক প্রবেশ করছে? জেনারেল টিকিট নিয়ে সংরক্ষিত কামরায় ওঠার সুযোগ কীভাবে পাচ্ছে? রেল পুলিশ কেন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এই প্রতিটি প্রশ্নের জবাব রেলকে দিতে হবে এবং সাধারণ মানুষকেও বোঝাতে হবে যে রেল আমাদের সকলের সম্পদ। এটি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সম্পত্তি নষ্ট করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, আর এটি প্রতিরোধ করাও প্রশাসনের কর্তব্য। অশ্বিনী বৈষ্ণব মহাশয়ের উপর ভরসা আছে এবং আশা করি তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।। রেলের মতো একটা গণপরিবহন মাধ্যমে এইরকম কাজ একেবারে কাম্য নয়।। রেল পুলিশের উচিত আরো কঠোর হওয়ার।।"