নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতার বুকে বাতাস মানেই ধুলো আর বিষাক্ত ধোঁয়ার মিশ্রণ। সম্প্রতি ‘দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট’ (টেরি)-এর করা সমীক্ষা সেই আশঙ্কাই সত্যি করে দিল। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশে চালানো এই সমীক্ষা জানাচ্ছে, কলকাতার বায়ুতে ভাসমান PM10 আর সূক্ষ্ম PM2.5 কণিকার প্রধান উৎস রাস্তার ধুলো, নির্মাণস্থলের মাটি, বর্জ্য পোড়ানো আর শ্মশানের ধোঁয়া। শুধু তাই নয়, গ্রীষ্মকালে এই ধুলোর মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বস্তি এবং ছোট খাবারের দোকানে কাঠ-কয়লার ধোঁয়া থেকেও বিপুল পরিমাণে এই দূষণ বাড়ছে। PM2.5-এর প্রায় 29 শতাংশ এবং PM10-এর 18 শতাংশ এই রান্নার ধোঁয়া থেকেই ছড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি গাড়ি ও কলকারখানার ধোঁয়া তো রয়েছেই। সমীক্ষা স্পষ্ট বলছে, কলকাতা পুর এলাকার কেন্দ্রে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
/anm-bengali/media/media_files/Fq4uTJ2qTagMmFiMXKIa.jpg)
এই সংকটের মোকাবিলায় কেন্দ্র ইতিমধ্যে শুরু করেছে NCAP প্রকল্প, লক্ষ্য 2026 সালের মধ্যে শহরের PM10 দূষণ 40 শতাংশ কমানো। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই লক্ষ্য তখনই সফল হবে, যদি প্রশাসনিক কড়াকড়ির পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতা বাড়ে। রাস্তার ধুলো নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণস্থলে পর্দা টানা, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ আর পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারে গুরুত্ব না দিলে, ভবিষ্যতে শ্বাসপ্রশ্বাসই হয়ে উঠবে কলকাতাবাসীর বড় চ্যালেঞ্জ! পরিবেশবিদদের মতে, সময় থাকতেই রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে নির্মাণ আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক না করলে এই মহানগর বাঁচানো কঠিন।