পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, দেশের স্কুল গুলির হাল জানেন কি?

শিক্ষাব্যবস্থার অন্যরকম রূপ

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
 school teacher.jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের স্কুল শিক্ষাব্যবস্থার এক উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চের এক বিশ্লেষণে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৩৫% স্কুলে মাত্র ৫০ জন বা তার কম শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে এবং এসব স্কুলে শিক্ষকসংখ্যা অত্যন্ত সীমিত, অনেক ক্ষেত্রে মাত্র একজন বা দুজন শিক্ষকই রয়েছেন।

নীতি আয়োগের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ৩৬% সরকারি স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে। ১০% স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২০ জন বা তারও কম। এইসব স্কুলে অল্পসংখ্যক শিক্ষক থাকার ফলে একই শিক্ষককে একাধিক শ্রেণি ও বিষয় পড়াতে হয়।

জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০ অনুসারে, শিক্ষকের এই বহুমুখী দায়িত্ব তাদের মানসম্মত পাঠদানে বাধা সৃষ্টি করছে। কারণ অনেক সময় তাদের এমন বিষয়ও পড়াতে হয়, যেগুলোর জন্য তারা যথাযথ প্রশিক্ষিত নন। এরফলে সমস্যায় যেরকম পড়ছেন শিক্ষকরা, ঠিক সেরকমই সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারাও।

school kids.jpg

এই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকেরা পাঠদানের পরিবর্তে প্রশাসনিক কাজে বেশি সময় ব্যয় করেন, যা শিক্ষার গুণগত মান হ্রাস করছে। ছোট ও বিচ্ছিন্ন স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত ল্যাব ও লাইব্রেরির মতো অবকাঠামোর অভাব রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগকে সীমিত করছে।

২০২২-২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী ১ম-৮ম শ্রেণিতে শিক্ষক পদের ১৬% ফাঁকা ছিল। কিছু রাজ্যে এই ঘাটতি তো আরও ভয়ঙ্কর। ঝাড়খণ্ড: ৪০ শতাংশ, বিহার: ৩২ শতাংশ, মিজোরাম: ৩০ শতাংশ এবং ত্রিপুরা: ২৬ শতাংশ শিক্ষক পদ ফাঁকা। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে, যেখানে শিশুদের দেশের ভবিষ্যৎ বলা হয়, সেখানে শিক্ষাঙ্গন গুলোই কীভাবে শিক্ষক ছাড়া ধুঁকছে! আর অন্ধকারে চলে যাচ্ছে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ!