নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হরিয়ানা নির্বাচন নিয়ে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলেন, "কয়েকটি আসন ছাড়া বিএসপি-আইএনএলডি জোট এই (জাঠ) সম্প্রদায়ের ভোট পায়নি। জাতপাতবাদী মানসিকতার কারণে জাঠ সম্প্রদায় বিএসপি প্রার্থীদের একেবারেই ভোট দেয়নি। অন্যদিকে, বিএসপির দলিত বেস ভোট সম্পূর্ণরূপে আইএনএলডি প্রার্থীদের কাছে স্থানান্তরিত হয়েছিল। চৌটালা পরিবারে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে জাঠ সম্প্রদায়ের ভোটের সুবিধা চলে গিয়েছে বিজেপিতে। এই অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যেই অ-জাঠ সম্প্রদায়ের ভোটও বিজেপির ঝুলিতে। তাই এবারের হরিয়ানার ভোটে জাঠ ও অজাঠ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাগ হয়ে গেল।"
তিনি আরও বলেন, "গতকালের হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের ফলাফলে আমাদের দলের অবস্থা সম্পর্কে আমি বলতে চাই যে হরিয়ানা একটি কৃষি-ভিত্তিক রাজ্য। কৃষির সঙ্গে যুক্ত মানুষ, বিশেষ করে জাঠ সম্প্রদায় রাজ্য ও কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী নীতি ও কাজে খুশি নন। তারা এখনো সুখী নয়। সেই কারণেই জাঠ সম্প্রদায়ের সিংহভাগ ভোট গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। তাই কয়েকটি আসন ছাড়া বিএসপি-আইএনএলডি জোট এই সম্প্রদায়ের ভোট পায়নি। কিন্তু জাতপাতবাদী মানসিকতার কারণে জাঠ সম্প্রদায় বিএসপি প্রার্থীদের একেবারেই ভোট দেয়নি। অন্যদিকে, বিএসপির দলিত বেস ভোট সম্পূর্ণরূপে আইএনএলডি প্রার্থীদের কাছে স্থানান্তরিত হয়েছিল। চৌটালা পরিবারে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে জাঠ সম্প্রদায়ের ভোটের সুবিধা চলে গিয়েছে বিজেপিতে। এই অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যেই অ-জাঠ সম্প্রদায়ের ভোটও বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে। তাই এখানে ফের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তাই এবারের হরিয়ানা নির্বাচন জাঠ ও অ-জাঠ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্ত ছিল। এতে বিএসপির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিএসপি-র ফলে উত্তরপ্রদেশে জাঠ সম্প্রদায়ের জাতপাতের মানসিকতা অনেকাংশে বদলেছে, কিন্তু হরিয়ানায় তা বদলায়নি - দলিতদের প্রতি তাঁদের মানসিকতা পুরোপুরি বদলায়নি।"