নিজস্ব সংবাদদাতা: অ্যাকাউন্টে থাকা ৭,২৮,০০০ টাকা সাফ করার পাশাপাশি জালিয়াত দ্বারা হাই মাদ্রাসা শিক্ষকের নামে ঋণ। যে ঋণের টাকা প্রতি মাসে শিক্ষকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয় ব্যাংক। যে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলেও ব্যাংক নারাজ। এমনকি নতুন স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলতে দিতেও অস্বীকার ব্যাংকের।অভিযোগ, হাই মাদ্রাসা শিক্ষকের আইনজীবী বিশ্বরূপ বিশ্বাসের।
লোন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন মামলাকারী নিজে। অনলাইনে ওটিপি শেয়ার না করলে ওই লোন অ্যাকাউন্ট চালু হওয়া অসম্ভব। যেহেতু ঋণের অর্থ শোধ হয়নি তাই প্রতি মাসে ইএমআই বাবদ টাকা ব্যাংক কাটতে বাধ্য। জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট মারফত দেখা গিয়েছে আইফোন মারফত লোন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অথচ মামলাকারীর আইফোন নেই। ফলে ওটিপি শেয়ার করার প্রশ্নই ওঠে না। জানান মামলাকারী।
বারাসত সাইবার ক্রাইম থানার আইসি জানান, বিতর্কিত ওই লেনদেন বিহার থেকে হয়েছিল। খুব সম্ভবত মামলাকারী ওই জালিয়াতির সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। যদিও বিষয়টির তদন্ত চলছে।
মামলাকারী ও পুলিশের বক্তব্য ও তথ্য অনুযায়ী মামলাকারী অনলাইন ব্যাংক জালিয়াতির শিকার। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিজেদের মতো তদন্ত চালিয়ে দেখতে হবে কে এই জালিয়াতির ফলে লাভবান। খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য সর্বতো প্রচেষ্টা চালাবে ব্যাংক ও পুলিশকে। মামলাকারীকে নতুন স্যালারি অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিতে হবে। বিতর্কিত অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। দুই তদন্তের ফলাফল নিয়মিতভাবে মামলাকারিকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার।