ঘুমহীন গুড়গুড়িপাল ! পুলিশের স্বস্তি, ধরা পড়লো 'ভদ্র' চোরের দল

অবশেষে মিলল স্বস্তি।

author-image
Adrita
আপডেট করা হয়েছে
New Update
s

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ তিন মাস ধরে মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল থানার এলাকায় ব্যাঙ্ক, সমবায়, দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সিসিটিভিতে চোরেদের ফুটেজ ধরা পড়লেও চিহ্নিত করা মুশকিল হয়ে পড়ছিল। কারণ তাদের আপাদ মস্তক ঢাকা ছিল চেহারা। লাগাতার চুরির ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছিল পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধেও বাড়ছিল স্থানীয়দের ক্ষোভ।

জানা গিয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে চুরির চেষ্টা চলে মেদিনীপুর সদরের কনকাবতী এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কের দরজার লক কেটে ঢুকে চুরি করতে ঢুকেছিল চোরের দল। তবে পুলিশ দুই চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত তিন মাসে এনায়েতপুর এলাকার একটি সমবায় সমিতিতেও চুরির চেষ্টা হয়। শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি চোরের দল। এরপর চাঁদড়া থেকে লোহাটিকরী বিভিন্ন এলাকাতে দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে একইভাবে। পুলিশের কাছে সবাই জানিয়েছিল। চোরের দল কোনো ফুটেজ সেখানে ছেড়ে যায়নি। কোথাও আবার সিসিটিভির হার্ডডিক্স নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজার সময় সকলেই যখন আনন্দে ব্যস্ত সবাই, সেই সময় নিজেদের সোর্সকে কাজে লাগায় গুড়গুড়িপাল পুলিশ। সেই সোর্স মারফত জানতে পারে ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টা করতে ঢোকা পাঁচ যুবক থানা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরেই রেড়াপাল গ্রামে বসবাস করে। লক্ষ্মী পূজার রাতে বুধবার ওই গ্রামে হানা দিয়ে নেপাল ঘোষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকিরা কেউ বাড়িতে ছিল না। তবে পুলিশ জানতে পারে শশীমোহন ঘোষ বাঁকুড়ার বারিকুলে নিজের শ্বশুর বাড়িতে ছিল। পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকেই তুলে আনে তাকে। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রেড়াপালে গিয়ে পুলিশ চোরেদের দেখানো স্থান থেকে চুরি করতে ব্যবহার করা সামগ্রী, যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন দোকানের চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করে। দুজনকে গ্রেফতার করে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

 

i