জামুড়িয়ার বিজয়নগর ফুটবল ময়দান রক্ষায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

এলাকাবাসীর প্রতিবাদ।

author-image
Adrita
আপডেট করা হয়েছে
New Update
];

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামুড়িয়া: জামুড়িয়ার বিজয়নগর স্কুল পাড়ায় অবস্থিত ফুটবল ময়দান নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই ময়দানে এলাকার শিশুরা নিয়মিত খেলাধুলা করে আসছে। সম্প্রতি মাঠটির মালিক কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই গগন ফ্যাক্টরির কাছে ময়দানটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ ময়দানটির দখল নিতে গেলে এলাকাবাসীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এই জায়গায় কারখানা নির্মাণের বিরোধিতা করেন। এলাকাবাসীরা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো ফল পাননি। ময়দানের পাশেই বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, যদি এখানে লোহার বা স্পঞ্জ কারখানা স্থাপন করা হয়, তবে ওই এলাকায় মারাত্মক দূষণ ছড়াবে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে। এই ভয়ে আজ এলাকাবাসী প্রতিবাদে নামেন।

স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল বাউরি বলেন, “বিজয়নগর স্কুল পাড়ার এই ময়দানটি ১৯৮০ সাল থেকে খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাঠের মালিক তা গোপনে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করেছেন। আমরা চাই, এই জায়গায় কোনো কারখানা না হোক এবং যারা ময়দানের পাশে বসবাস করছেন, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।”

এই ইস্যু নিয়ে ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন স্তরে আবেদন করা হলেও এখনো কোনো সমাধান আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি কারখানা কর্তৃপক্ষ ময়দানের আশপাশে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে, যা তাদের উদ্বিগ্ন করেছে। তাই আজকের এই প্রতিবাদে তারা তাদের দাবিগুলো সামনে এনেছেন।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে হেমন্ত সিং বলেন, “ কোম্পানিটি ২০১০ সালে এই জমিটি কিনেছে। স্থানীয়দের দাবি যে এখানে ৪০ বছর ধরে খেলা হয়, তা সঠিক নয়। গত বছরই স্থানীয়রা এখানে গোল পোস্ট স্থাপন করেছে। ” পুনর্বাসনের দাবি তিনি খারিজ করে দেন এবং জানান, এটি কোম্পানির জমি এবং কোম্পানি এখানেই কাজ করবে।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানিয়েছেন, “এই ময়দানে বহু বছর ধরে এলাকাবাসীর সন্তানরা খেলে আসছে। তাই আমি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করব যাতে মাঠটি নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত না হয় এবং স্থানীয় শিশুদের খেলার জায়গা হিসেবে সংরক্ষিত রাখা হয়।”

এখন দেখার বিষয়, এই প্রতিবাদের পর প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় এবং মাঠটি এলাকাবাসীর জন্য রক্ষা পায় কিনা।