জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ, বড় পদক্ষেপ

বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন।

author-image
Adrita
New Update
ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, অন্ডাল: আইসিডিএস সেন্টার এর রান্নাঘর রূপ নিয়েছে শৌচাগারের, অন্যদিকে শৌচাগার দখল করে হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ। বিষয়টি জেনেও  কেন চুপ থেকে সব বিষয় চেপে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেন না সেন্টারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা ? সব কথা জেনে নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ উপপ্রধানের। 

কয়েক মাস আগেই সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন সর্বস্তরের প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের। কিন্তু কিছুদিন যেতেই এই ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রশাসনের মধ্যে। আইসিডিএস সেন্টারের জমি দখল করে হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ, জানেনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ সামনে এলো। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উখড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন খালাসি পাড়ার ১৬৭ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারে। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আইসিডিএস সেন্টারের পাশে সরকারি জমির উপর ঢালাইয়ের কাজ চলছে একটি অবৈধ ঘর নির্মাণের। এই কাজ করছেন বিকাশ তিওয়ারি নামে এক বাসিন্দা। একদিকে আইসিডিএস সেন্টারের শৌচাগার হচ্ছে জবর দখল। পাশাপাশি অন্যদিকে দেখা গেল সেন্টারের খুদে পড়ুয়াদের জন্য রান্নার জায়গা বর্তমানে রূপ নিয়েছে শৌচাগারের। নোংরা আবর্জনায় ভর্তি,তাই খুদে পড়ুয়াদের জন্য রান্নাবান্না হচ্ছে এই ক্লাসের মধ্যেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়াশোনা করতে বাধ্য খুদে পড়ুয়ারা।

অভিযোগ সরকারি জায়গার পাশাপাশি অভিযুক্ত বিকাশ তেওয়ারি দখল করে নিয়েছেন আইসিডিএস সেন্টারের বাথরুম ও শৌচাগারও। ফলে সেন্টারের খুদে পড়ুয়ারা থেকে সেন্টারের দিদিমণি, সহায়িকারা পড়েছেন সমস্যাতে। প্রয়োজনে সেন্টারের খোলা জায়গাতেই শৌচকাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে সেন্টারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা স্বরূপা বক্সিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। কখনো বলেন বিষয়টি জানতেন না, আবার কখনো বলেন স্থানীয়দের তিনি অবৈধ নির্মানের জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি বিষয়টি জানাননি বলে স্বীকার করেন। এখানে প্রশ্ন উঠছে সেন্টারের বাথরুম শৌচাগার দখল হয়ে যেতে দেখেও তিনি কেন বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেন না ? দখলদার বিকাশ তেওয়ারি বলেন শিক্ষিকার অনুমতি নিয়েই তিনি নির্মাণ কাজ করছেন।

এখানেই উঠছে প্রশ্ন, সেন্টারের শিক্ষিকা কিভাবে সরকারি জায়গা দখল করার অনুমতি দেন ? বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সিডিপিও স্বর্ণপ্রিয়া নাগ বলেন এরকম হওয়ার কথা নয়। ঐ শিক্ষিকা কেন অভিযোগ জানায়নি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

আইসিডিএস সেন্টারের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণের খবর পেয়ে শনিবার ঘটনাস্থলে আসেন খান্দরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশিষ ভট্টাচার্য। তিনি উখড়া ফাঁড়ির পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশও এসে উপস্থিত হয় সেন্টারে। জবর দখলকারীকে আপাতত কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আশীষ বাবু।