নিজস্ব প্রতিনিধি, খড়্গপুর: সাওনের ওজন ছিল ৮০ কেজি। তাঁর সমপরিমাণ ওজনের বালির বস্তা, দড়ি দিয়ে বেঁধে জানালার রড থেকে ঝুলিয়ে দেখে নিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডঃ চিত্তকর্ষক সরকার।
সোমবার দুপুরে আইআইটি খড়্গপুরের আজাদ হলের তিনতলায় ৩০২ নম্বর রুমে গিয়ে খতিয়ে দেখা হলো সবকিছুই। রবিবার এই রুম থেকেই আইআইটি খড়্গপুরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র সাওন মালিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সাওনের বাবা রাজ্যের এক মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক বা ব্যক্তিগত সচিব। স্ত্রী-কে নিয়ে অন্যান্য রবিবারের মতোই গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ তিনি পৌঁছেছিলেন আইআইটি খড়্গপুরে। নিচে ভিজিটরস খাতায় সই করে তাঁরা সোজা চলে গিয়েছিলেন তিনতলায়, সাওনের রুমের সামনে। দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল। এরপরই হোস্টেল সুপার সহ সাওনের সহপাঠী তথা ওই হোস্টেলের আবাসিকদের ডেকে দরজা খোলা হয়। তারপরেই বাবা-মা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন মর্মান্তিক দৃশ্য। সোমবার বিকেল ৩টা নাগাদ সেই ঘটনার তদন্তেই এসেছিলেন এক সদস্যের ফরেন্সিক দল। তাঁর নির্দেশে, একটি বস্তাতে ৮০ কেজি বালি ভরে, ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় দড়ি। তারপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে। যদিও বাইরে বেরিয়ে এসে এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি ডক্টর সরকার।