নিজস্ব প্রতিবেদন : বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বারুইপুরের এক কিশোরী। এজন্য তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল কাউন্সিলিং করানো হচ্ছিল। কিন্তু কাউন্সিলিং করাতে গিয়ে এমন এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে চোখ উঠেছে কপালে। জানা গেল মানসিক অবসাদে ভোগার আসল কারণ। কিশোরী জানান, দিনের পর দিন তার সাথে হয়েছে নির্যাতন। আরে নির্যাতন করেছেন তারই গৃহ শিক্ষক।
দিনের পর দিন ওই কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে নির্যাতন করে গেছে তার কোচিং এর গৃহ শিক্ষক। এই নির্যাতন চলতে চলতেই একটা সময় পর মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। কাউন্সিলিং করাতে গিয়ে গত চার মাসে কথা জানায় ওই কিশোরী। কিশোরী বলে, কোচিংয়ে পড়তে গেলেই ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেছে ঐ শিক্ষক। প্রতিবার তাকে, তার মাকে ও বাবাকে খুন করে দেবে; এই ভয় দেখানো হয়েছে। আর এই ভয়ে মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। মেয়ের মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে ওই কিশোরীর মা তাকে কাউন্সেলিং করান। কাউন্সেলিং এর পরেই ওই কিশোরী তার মাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এরপরেই নির্যাতিতার মা বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বিশ্বনাথ সরদার। ইতিমধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন রেল কর্মী। রেলের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি কাজ করেন। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার রেল বিভাগে তিনি কর্মরত। বারুইপুর এক নম্বর প্লাটফর্মের পাশে রেল কোয়ার্টারে তিনি শিক্ষকতা করতেন। ওই কোয়াটার থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।