নিজস্ব সংবাদদতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন ঠাসা কর্মসূচি রাজনৈতিক দলগুলির। জেলায় জেলায় চলছে মিছিল-মিটিং। এরই মাঝে আবার রয়েছে প্রার্থী বাছাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকটিও। একের পর এক দুর্নীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির দলীয় নেতা-কর্মীকেই প্রার্থী করার ওপর বেশি জোর দিচ্ছে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল। এমতাবস্থায় দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে চলছে ভোটগ্রহণ। নবজোয়ার যাত্রা শুরুর পর রাজ্যের শাসক দলের উদ্যোগে ব্যালটে মতামত জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কে হবেন প্রার্থী? কাকে চায় এলাকার মানুষ? সেই দিকেই মনোনিবেশ করছে তৃণমূল। দলের তরফে আয়োজিত ভোটাভুটির সময়ে একাধিকবার বিশৃঙ্খলার চিত্র ধরা পড়েছে। এই পর্যন্ত সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে। আঞ্চলিক একটি দলের ভোটে কেন তদারকি করবে পুলিশ? কোনো দলের নাম না নিয়ে এবার এই অভিযোগে সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি, করলেন জনস্বার্থ মামলাও। এর আগে বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি চিঠি লেখেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে। আঞ্চলিক দলের ভোটাভুটিতে যেখানে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ‘পাবলিক ইন্টারেস্টের’ যোগ নেই, সেখানে কেন পুলিশ মোতায়েন করা হল সেই প্রশ্নই চিঠিতে ডিজিকে করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এরকমটা করা যায় কিনা তাও চিঠিতে জানতে চান। ডিজিকে অনুরোধ করেন, যদি কোনো আইনি বিধান থাকে এ বিষয়ে তাহলে যেন অবগত করা হয় তাকে। কিন্তু চিঠির কোনো উত্তর পাননি বিজেপি নেতা। আর তারপরই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সরাসরিভাবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না নিলেও, মামলার জেরে অস্বস্তির হাওয়া ঘাসফুল শিবিরে। এখন দেখার আদালত কী পদক্ষেপ করে। কোনো দলের ওপর চাপ আসে কিনা।