নিজস্ব সংবাদদাতা: কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে জয়নগরের নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে কল্যানীর জেএনএম হাসপাতালে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এখানে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ. ও দু’জন বিভাগীয় প্রধান। কাঁটাপুকুর মর্গ থেকে দেহ জেএনএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জয়নগরে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়। কাঁটাপুকুরে জয়নগরের নির্যাতিতার দেহ আসার আগেই বিরোধীরা চলে আসেন। নির্যাতিতার পরিবার কোনও সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে চায়নি। এই প্রেক্ষিতে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ মেনে রবিবারই জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে। বিচারপতি নিজেই প্রস্তাব দেন, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল, রাজ্যের হাসপাতাল, সেই পরিকাঠামোতে এইমসের বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্ত করবেন। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, বারুইপুরের জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে, জয়নগর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যৌন নির্যাতনের স্পষ্ট ইঙ্গিত থাকলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা রজু করা হয়নি বলে পুলিশের কাছে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। পাশাপাশি অভিযুক্তকে দ্রুত পসকো আইনের আওতায় নিয়ে এসে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয় আদালত।