নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসক খুনের মামলায় আজ সকালেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। আর এবার এই মামলায় সরাসরি কেস ডাইরি তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। দুপুর ১টার মধ্যে সেই কেস ডাইরি জমা দিতে হবে প্রশাসনকে। এখনও কেন পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ নিচ্ছে না এদিন সেটাই কড়া ভাষায় জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
এদিন তিনি বলেন, “আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কি ভীষণ প্রভাবশালী কেউ? যে এখনও পর্যন্ত তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হল না। তাঁর প্রতিষ্ঠানেই এতো বড় ঘটনা ঘটলো, অথচ তাঁর কোনও বয়ান নেওয়া হল না কেন? এমনকি গতকাল তিনি অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেওয়ার সাথে সাথে ৪ ঘন্টার মধ্যেই তাঁকে অন্য এক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়ে আসা হল। কেন তাঁর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ নিতে রাজি নন”।
File Picture
“এই মুহুর্তে অধ্যক্ষের উচিত, বিকেল ৩টের মধ্যে লম্বা ছুটিতে চলে যাওয়া। তাঁর নিজের থেকেই কর্মবিরতিতে যাওয়া উচিত। নতুবা আদালতের যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার আদালত তা নেবে”।
একই সাথে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কী করে প্রশাসন প্রথমে নির্যাতিতার পরিবারকে বলেছিল যে তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? কী করেই বা তাঁদেরকে তিন ঘন্টা বসিয়ে রেখে আত্মহত্যার কথা বলেছিল পুলিশ? এরকমটা করে থাকলে প্রশাসন আজও তাঁদের সাহায্য করেনি ধরে নিতে হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি স্বাভাবিক, তাঁদের আন্দোলন স্বাভাবিক। তারা তাঁদের সহকর্মীকে হারিয়েছে, এটা বুঝতে হবে। প্রশাসন এখনও দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অভিযুক্তরাও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে। এই ঘটনাও কামদুনির ঘটনার মতো বিনা শাস্তিতে মিটে যাবে। যা হতে দেওয়া যাবে না”।