নিজস্ব সংবাদদাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের কারণে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় আরও চারজন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
প্রসূতির মৃত্যুর পরপরই স্বাস্থ্যভবন থেকে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সেই কমিটি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে অনুসন্ধান চালায়। এদিন এই ঘটনা ঘিরে বিক্ষোভে সামিল হয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। একইসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসও পথে নেমে অভিযোগ করে, বাতিল হওয়া নিম্নমানের স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের দাবি, এই ঘটনার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়ী।
চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। সাত দফা দাবি তুলে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়ে তারা জানায়, এই ধরনের স্যালাইন ব্যবহারের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ তদন্ত করতে হবে। চিকিৎসকদের দাবি হল, অভিযুক্ত স্যালাইনের সব বোতল বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বাজেয়াপ্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফি করে রাখতে হবে। অবিলম্বে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। স্যালাইন সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের সব সরকারি চিকিৎসা সরঞ্জামের গুণমান নিয়ে অডিট করতে হবে। প্রশ্নের মুখে স্যালাইন সরবরাহ ব্যবস্থা বিরোধীদের অভিযোগ, বাতিল স্যালাইন সরবরাহকারী সংস্থা সম্পর্কে আগেও অভিযোগ উঠেছিল। তবু কেন সেই স্যালাইন রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে পৌঁছাল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এই ঘটনায় ক্ষোভের আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার।