নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit) সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বের বিশিষ্ট নেতারা দিল্লিতে আসতে শুরু করেছেন। এ বছর কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত সারা দেশে সফলভাবে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, যে তাঁর সরকার সারা দেশে জি-২০ ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা জনগণ, শহর এবং প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগী হবে। একই সঙ্গে পুরনো ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগের সরকারগুলি দিল্লির বাইরে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জনগণের সামর্থ্যে বিশ্বাস করত না।
এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জি-২০ ইভেন্টের মাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিকে এই সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দিল্লিতে আসবেন কিনা সেই নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। এই দুই বড় রাজনেতার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, 'আমি মনে করি যদি ইতিহাসের দিকে তাকানো যায়, কিছু প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে কোনো কারণে জি-২০ সম্মেলনে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেই দেশ এবং তার অবস্থান প্রতিফলিত হয় সেই অনুষ্ঠানে যারাই প্রতিনিধিত্ব করে। আমি মনে করি সবাই খুব গুরুত্ব সহকারে এই সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছে। "
বিদেশ মন্ত্রী আরও বলেন, এই সম্মেলনে কে আসছে আর কে আসছে সেটা বড় কথা নয়। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, যেকোনো দেশ সবসময় বিশ্বের সামনে তার অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করবে। আমি মনে করি আপনার অপেক্ষা করা উচিত এবং কথোপকথনে আসলে কী ঘটে তা দেখা উচিত।‘
জয়শঙ্কর জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান জি-২০ সম্মেলনে সারা দেশে অংশগ্রহণ করুক। জি-২০ এমন একটি বিষয় যা ভারতের বিভিন্ন অংশে অংশগ্রহণের অনুভূতি সহ একটি জাতীয় প্রচেষ্টা হিসাবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
বিরোধী নেতাদের আক্রমণ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘১৯৮৩ সালে কিছু লোক আটকে পড়েছিল। যারা সেই পর্যায়ে আটকে আছেন তারা সেই সময়ের মধ্যে আটকে থাকতে পারেন। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে।‘ ভারতের জি-২০ জোটের সভাপতিত্বে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে এই গ্রুপের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।