নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি থেকে। মকর সংক্রান্তির দিনে প্রথম অমৃত স্নান সারলেন ভক্তরা, নাগা সন্ন্যাসীরা। এদিন প্রায় সাড়ে ৯ ঘন্টা ধরে চলা এই অমৃত স্নানে ১৩টি আখড়া অংশ নিয়েছে। সমস্ত আখড়াকে সঙ্গম স্নানের জন্য ৪০ মিনিট করে সময় দেওয়া হয়েছিল। এই অমৃত স্নানে নাগা সাধুরা প্রথমে স্নান করেন এবং পরে করেন তাদের ভক্তরা।
মহাকুম্ভ মেলার দরুণ নাগা সাধুদের সম্পর্কে অনেক কিছু বিষয়ই জেনে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু আপনি মহিলা নাগা সাধুদের সম্পর্কে কি জানেন? এই প্রতিবেদনে রইল মহিলা নাগা সাধুদের বর্ণনা।
মহিলা নাগা সাধুরা পুরুষ নাগা সাধুদের থেকে অনেক আলাদা। তাদের জগত সম্পূর্ণ আলাদা এবং অদ্ভুত। নারী নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন, নারীদের নাগা সাধু হওয়ার জন্য কঠিন সাধনা করতে হয়। যে মহিলারা নাগা সাধু হন তাদের ১০-১৫ বছর কঠোর ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। নাগা সাধু হওয়ার জন্য, একজনকে তাদের গুরুকে আশ্বস্ত করতে হবে যে মহিলাটি নাগা হতে সক্ষম। এর পরে, যখন গুরু নিশ্চিত হন, তখন তাকে নাগা সাধু হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর শুরু হয় নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়া। নাগা সাধু হওয়ার জন্য, মহিলাকে তার পিন্ডদান করতে হয়, পাশাপাশি তার মাথা ন্যাড়াও করতে হয়। এর পরে, মহিলাকে নদীতে স্নান করানো হয় এবং মহিলা সারা দিন ভগবানের নাম জপ করেন।
পুরুষদের মতো নারী নাগা সাধুরাও শিবের পুজো করেন। তারা সকালে ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে শিবের নাম জপ করেন এবং সন্ধ্যায় ভগবান দত্তাত্রেয়ের পুজো করেন। তারপর দুপুরের খাবারের পর তারা শিবের নাম জপ করেন।
নাগা সাধুরা শিকড়, ফল, ভেষজ, ফল এবং অনেক ধরনের পাতা খান। একইভাবে মহিলা নাগাদেরও একই রকম খাবার খেতে হয়। মহা কুম্ভের সময়, সাধুদের মতো, মহিলা নাগারাও শাহী স্নান (অমৃত স্নান) গ্রহণ করেন। তবে পুরুষ নাগা এবং মহিলা নাগারা আলাদাভাবে বসবাস করেন। আখড়াগুলোতে নারী তপস্বীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। মহিলা নাগা সাধু পুরুষ নাগা সাধুর পরে স্নান করতে যান। আখড়ায় নাগা সাধ্বীদের ডাকা হয় ‘মাই’, ‘অবধুতানি’ বা ‘নাগিন’ নামে।