সাজাপ্রাপ্ত কি করে রাজনীতিতে ফেরেন? কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বক্তব্য তলব সুপ্রিম কোর্টের

বিশেষত রাজনীতিতে অপরাধপ্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের দুটি ধারার সংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হওয়া মামলায় অভিমত বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের। 

author-image
Jaita Chowdhury
New Update
Supreme court

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: সাজাপ্রাপ্ত কি করে রাজনীতিতে ফেরেন? এমন সংসদ সদস্য বা বিধায়কদের ক্ষেত্রে কেন সারা জীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে না? কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য তলব সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)।

সাজাপ্রাপ্তের ভোটে দাঁড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। বিশেষত রাজনীতিতে অপরাধ প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের দুটি ধারার সংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হওয়া মামলায় অভিমত বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের। 

আইনসভায় অপরাধীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে আজীবন নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের দাবিতে মামলা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী অপরাধী প্রমাণিত হয়ে সাজা খাটার পর ছয় বছর পর্যন্ত ভোটের দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই ধারাটির বৈধতাও মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

এই মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আদালত বহুবার নানা রকম নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সংসদ সদস্য ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ হাজার ফৌজদারি মামলা এখনো সারাদেশে বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন আদালত বান্ধব। 

কেন দ্রুততার সঙ্গে সব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বকেয়া ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করা হবে না? কেন ৬ বছরের পরিবর্তে সারা জীবনের জন্য এমন অপরাধীদের ভোটে দাঁড়ানো বন্ধ করা হবে না? সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কিভাবে রাজনৈতিক দল গঠন করেন অথবা রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী হন? প্রশ্ন তোলা হয়েছে শুনানিতে। 

প্রসঙ্গত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এমন মামলার দ্রুত শুনানির স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দশটি রাজ্যে বারটি বিশেষ আদালত স্থাপিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ।