নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) হিসেবে বাঙালি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিকে নিয়োগের পথ প্রশস্ত করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে (Notification) জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (Supreme Court Judge) হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০৩১ সালে তিনিই দেশের প্রধান বিচারপতি পদে (Chief Justice) অলঙ্কৃত হবেন বলেও জানানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৬ মার্চ কলেজিয়ামের বৈঠকে (Meeting) বিচারপতি বাগচিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ২০১১ সালের ২৭ জুন বিচারপতি বাগচি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে প্রথম নিয়োগ পেয়েছিলেন। করোনা মহামারীর (Pandemic) সময়ে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের (Andhra Pradesh High Court) বিচারপতি পদে বদলি করা হয়। তবে একই বছর নভেম্বর মাসেই তাঁকে আবার কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে আনা হয়। বিচারপতি বাগচি আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৩ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
/anm-bengali/media/media_files/9YlGMHZE5ssW1tGp3LSa.jpg)
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, বিচারপতি আলতামাস কবির (Altamas Kabir) ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর (Retirement) গ্রহণ করেন। তিনিই ছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে প্রধান বিচারপতি হওয়া শেষ বিচারপতি। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর ফের এক বাঙালি বিচারপতি প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করতে চলেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিচার বিভাগ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ২০৩১ সালের ২৫ মে প্রধান বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের (Justice K.V. Viswanathan) অবসরের পরই দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হবেন। ২৬ মে ২০৩১ থেকে ২ অক্টোবর ২০৩১ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। বিচারপতি বাগচির নিয়োগ দেশের বিচার বিভাগে বাঙালি প্রতিনিধিত্বকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ অনুযায়ী, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনকে (Justice Harish Tandon) ওড়িশা হাইকোর্টের (Orissa High Court) প্রধান বিচারপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচারপতি ট্যান্ডনের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাকে বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।