পড়াশোনা ঠিক মতো হয় না,মিড ডে মিলে অনিয়ম, অভিভাবকদের বিক্ষোভ

সার্কেল ইনস্পেক্টরের তৎপরতায় বিক্ষোভ ওঠে।

author-image
Adrita
New Update
ফভ

দিগ্বিজয় মাহালি, ডেবরাঃ মিড ডে মিলে শিশুদের ঠিক ভাবে খাবার দেওয়া হয় না। দুই শিক্ষকের মতভেদে পঠনপাঠনেরও ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি, স্কুল চত্বর অপরিষ্কার। এই সব কারণে দিনভর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার অন্তর্গত দেভোগ অঞ্চলের সলাগেড়্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতর থেকে হাড়ি, কড়াই, গ্যাস ওভেন বের করে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের অভিভাবক-অভিভাবীকারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্কুল পরিদর্শক কার্যালয়ের সার্কেল ইনস্পেক্টর। তাদের তৎপরতায় বিক্ষোভ ওঠে। 

অভিভাবকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সবংয়ের সলাগেড়্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৬২ জন ছাত্রছাত্রী আছে। স্কুল শিক্ষক রয়েছেন একজন এবং শিক্ষিকা দুইজন। অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে কোন রকম মিলতাল নেই। তাঁরা স্কুলেও নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেন। এর ফলে পঠনপাঠন ঠিক ভাবে হচ্ছে না। মিড ডে মিলও ঠিক করে ছাত্রছাত্রীরা পায় না। ছাত্র-ছাত্রীদের খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের। এক প্যাকেট সোয়াবিন দিয়ে কুড়ি থেকে ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর রান্না করা হয়। ভুলক্রমে কোনও দিন ডিম দেওয়া হয়। কোনও দিনই ভাল তরকারি দেওয়া হয় না। এমনকি,২০-৩০ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকলেও হাজিরার খাতায় তা বাড়িয়ে দেখানো হয় বলে অভিযোগ।  

এক পড়ুয়ার অভিভাবক বলেন,“ আমরা চাই স্কুলে যেন ঠিক ভাবে পড়াশোনা করানো হয়। মিড ডে মিল দেওয়া হয়।  স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শোভনা সুর ও দেবাশীষ ভৌমিক স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছে। '' তারা দাবি জানিয়েছেন যে, ' অবিলম্বে প্রধান শিক্ষিকা ও ঐ শিক্ষককে এই স্কুল থেকে বদলি করা হোক। ' 

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা শোভনা সুর বলেন, '' আমি নিজে থেকে বলছি যদি আমার কোন ভুল ত্রুটি হয়। তাহলে আমি পরবর্তীকালে সেটা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব এবং সমস্ত গ্রামবাসী থেকে অভিভাবকদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। পরবর্তীকালে উনারা যদি আমার ভুল-ত্রুটি দেখেন, তাহলে এসে সরাসরি যেন স্কুলে জানায়। 

অন্যদিকে স্কুলের সহকারী শিক্ষক দেবাশীষ ভৌমিক বলেন, '' আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত মিড মিলের এক টাকাও সরকারের কাছ থেকে পায়নি। যদি কোন দুর্নীতি প্রমাণ হয় আমি একমাসের মধ্যে দায়িত্ব ছেড়ে দেবো। আমি কোন রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। ''  

সবং পশ্চিম চক্র স্কুল পরিদর্শক অফিসার সুরজিৎ ভূঁইয়া বলেন,“ আমি সমস্ত বিষয় অভিভাবক ও শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনলাম। সব কিছু আমি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানাবো। '' 

add 4.jpeg