এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির বিষয় সম্পর্কে রাজ্যপালের শ্বেতপত্র দাবী করার মন্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী তমসা চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির বিষয় সম্পর্কে রাজ্যপালের শ্বেতপত্র দাবী করার মন্তব্যের বিষয়ে বিজেপি নেত্রী তমসা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। এই রাজ্যে ঋণের বোঝা শ্রীলঙ্কার চাইতেও অনেক বেশি। রাজ্যের জিডিপি একদম তলানিতে, অপরদিকে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর কোনও উন্নতি হয়নি। পাশাপাশি আর্থিক নৈতিকতার ধার ধারছে না তৃণমূল সরকার।
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে এবং আবাস যোজনায় তো দুর্নীতি হচ্ছেই। সেইসঙ্গে আর্থিক স্বার্থের মাপকাঠির বিচারে রাজ্য কার্যত ডাহা ফেল করছে। পশ্চিমবঙ্গ একসময় শিল্পের ক্ষেত্রে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের শিল্প উৎপাদনে রাজ্যের অবদান ক্রমশ কমছে। ১৯৪৭ সালে দেশের শিল্পে ২৪% অবদান আসতো বাংলা থেকে। ২০২০-২০২১ সালে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৩. ৫ শতাংশতে।
যার ফলে রাজ্যবাসীর মাথাপিছু যে আয় সেই আয় বিগত দুই শতকে নিম্নমুখী তা অস্বীকার করার কোনও জায়গায় নেই। রাজ্যজুড়ে শুধু ভাতা, অনুদান, খেলা, মেলার বাহার চলছে। এখন গা বাঁচাতে সৌরভ গাঙ্গুলীকে পাশে বসিয়ে বিদেশে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাঁওতা দিচ্ছে মানুষ কিন্তু তা দেখছে। সৌরভ গাঙ্গুলীর শিল্প কারখানা আগামীতে হবে কিনা তা ভবিষ্যতেই জানা যাবে, কিন্তু ১ টাকার বিনিময়ে তাকে ৩০০ একর জমি পাইয়ে দেওয়ার ফলে শিল্পক্ষেত্রে পিসি-ভাইপো নিজেদের দুর্নীতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ফেলেছেন।
তৃণমূল সরকার রাজ্যে আসার পরে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক কি তা প্রকাশ করুক শাসক দল। ২০১০ সাল থেকে ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কাজের সন্ধানে এই রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেছেন। এর জবাব তৃণমূলকে দিতেই হবে।"
রাজ্যজুড়ে শুধু ভাতা, অনুদান, খেলা, মেলার বাহার
এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির বিষয় সম্পর্কে রাজ্যপালের শ্বেতপত্র দাবী করার মন্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী তমসা চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির বিষয় সম্পর্কে রাজ্যপালের শ্বেতপত্র দাবী করার মন্তব্যের বিষয়ে বিজেপি নেত্রী তমসা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। এই রাজ্যে ঋণের বোঝা শ্রীলঙ্কার চাইতেও অনেক বেশি। রাজ্যের জিডিপি একদম তলানিতে, অপরদিকে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর কোনও উন্নতি হয়নি। পাশাপাশি আর্থিক নৈতিকতার ধার ধারছে না তৃণমূল সরকার।
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে এবং আবাস যোজনায় তো দুর্নীতি হচ্ছেই। সেইসঙ্গে আর্থিক স্বার্থের মাপকাঠির বিচারে রাজ্য কার্যত ডাহা ফেল করছে। পশ্চিমবঙ্গ একসময় শিল্পের ক্ষেত্রে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের শিল্প উৎপাদনে রাজ্যের অবদান ক্রমশ কমছে। ১৯৪৭ সালে দেশের শিল্পে ২৪% অবদান আসতো বাংলা থেকে। ২০২০-২০২১ সালে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৩. ৫ শতাংশতে।
যার ফলে রাজ্যবাসীর মাথাপিছু যে আয় সেই আয় বিগত দুই শতকে নিম্নমুখী তা অস্বীকার করার কোনও জায়গায় নেই। রাজ্যজুড়ে শুধু ভাতা, অনুদান, খেলা, মেলার বাহার চলছে। এখন গা বাঁচাতে সৌরভ গাঙ্গুলীকে পাশে বসিয়ে বিদেশে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাঁওতা দিচ্ছে মানুষ কিন্তু তা দেখছে। সৌরভ গাঙ্গুলীর শিল্প কারখানা আগামীতে হবে কিনা তা ভবিষ্যতেই জানা যাবে, কিন্তু ১ টাকার বিনিময়ে তাকে ৩০০ একর জমি পাইয়ে দেওয়ার ফলে শিল্পক্ষেত্রে পিসি-ভাইপো নিজেদের দুর্নীতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ফেলেছেন।
তৃণমূল সরকার রাজ্যে আসার পরে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক কি তা প্রকাশ করুক শাসক দল। ২০১০ সাল থেকে ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কাজের সন্ধানে এই রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেছেন। এর জবাব তৃণমূলকে দিতেই হবে।"