নিজস্ব সংবাদদাতা: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার পর ক্রমাগত ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। তাকে কেন কীভাবে আক্রমণ করা হল তার প্রত্যেকটা বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ সইফ আলি খানের ওপর হামলা হয়। তিনটের সময় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রাত সাড়ে তিনটেয় লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আর তখনই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল, বাইরে থেকে কোনও চোর ঘরে ঢুকেছিল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, হামলার ২ ঘণ্টা আগেও আবাসনে কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি। আর তাতেই পুলিশের সন্দেহ ঘনীভূত হয়। মনে করা হয়, আততায়ী অভিনেতার বাসভবনের ভিতরেই ছিল। এই ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা বহু আগের থেকেই ছিল।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/16/jxMvIpYR5xQt3zkZSMzN.webp)
এরপর তদন্ত প্রক্রিয়া আরও গতি নিলে ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আসে। কেননা প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, সন্দেহভাজন একজনকে সইফ আলি খানের বাসভবনের পাশের বিল্ডিংয়ের কম্পাউন্ড থেকে লাফ দিতে দেখা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়। আর তারপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তাদের একজনকে পাশের কমপ্লেক্স থেকে সইফের বিল্ডিং কম্পাউন্ডে ঢুকতে দেখা গেছে ওই সিসিটিভিতেই।
পুলিশ দুই সন্দেহভাজনের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করেছে যারা সিঁড়ি দিয়ে অভিনেতার বাসভবনে প্রবেশ করেছিল। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ধারা ১০৯ (খুনের চেষ্টা) এবং ঘটনার পরে অনুপ্রবেশ সহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে একটি মামলাও নথিভুক্ত করেছে। বান্দ্রা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য সমস্ত লীড অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
/anm-bengali/media/media_files/gG6ip65lMBHTRHJ1HizZ.webp)
মূলত, ঘটনার আগের ২ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ সার্চ করে তেমন কিছুই পায়নি পুলিশ। তবে সন্দেহ দানা বাঁধায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ ভালো করে খুটিয়ে দেখেন তদন্তকারী অফিসারেরা। আর তাতেই ২ সন্দেহভাজনের অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসে। আপাতত এই ঘটনায় এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে মুম্বই পুলিশের বিশেষ ৭টি টিম।