নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরুলিয়া জেলার জঙ্গলমহল, যা ইতিহাসের স্মৃতিতে সমৃদ্ধ, সেখানে অবস্থিত রাকাব জঙ্গল একটি ঐতিহাসিক স্থান। একসময় এই গভীর জঙ্গলে ছিল পঞ্চকোট রাজার রাজধানী, কেশরগড়। তিনদিকে নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং গভীর অরণ্যে ঘেরা কেশরগড়ের পরিবেশ গা ছমছমে, যেখানে এখনও বন্য জন্তুর আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। ১৭৯৪ সালে পঞ্চকোট রাজা ভারতশেখর এই জঙ্গলে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যা দুর্গাপুজোর সূচনা করে। ১৮৩২ সালে কিশোরগড় থেকে রাজ্যের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় কাশীপুরে। তবে কেশরগড়ে দুর্গার পূজা অব্যাহত ছিল বিগ্রহহীন মন্দিরে, যা দীর্ঘ ১৯২ বছর ধরে চলছিল।
/anm-bengali/media/media_files/1000070676.jpg)
সাম্প্রতিক সময়ে, বর্তমান রাজ পরিবার রাকাব জঙ্গলের পুরানো মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলস্বরূপ, ১৯২ বছর পর এই জঙ্গলে মায়ের মন্দিরে বিগ্রহ স্থাপন করা হয় এবং ধুমধামের সঙ্গে পুজোর সূচনা হয়। রাজ পরিবারের সদস্য বীরেন্দ্র সিংহদেও বলেন, বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হওয়ায় তাদের আনন্দের সীমা নেই। ভগবতী প্রসাদ সিংহদেও আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিগ্রহ পুজোর ইচ্ছা ছিল, যা অব finalmente বাস্তবায়িত হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/1000070679.jpg)
রাকাব জঙ্গলে রাতে বন্য জন্তুর আওয়াজ শোনা যায় এবং দর্শনার্থীরা এই জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। যদিও আশেপাশে জনবসতি গড়ে ওঠেনি, তবুও এই জঙ্গল স্থানীয় মানুষদের জন্য ঐতিহ্য ও আনন্দের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, বিশেষত মা দুর্গার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার ফলে।