নিজস্ব সংবাদদাতা: দশমী, দুর্গাপূজার শেষ দিন, সমগ্র ভারত জুড়ে উৎসাহের সাথে পালিত হয়। উৎসবটি অশুভের উপর শুভের বিজয়ের প্রতীক। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন এই দিনটি পালন করতে অনন্য রীতিনীতি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
রীতিনীতি ও ঐতিহ্য
পশ্চিমবঙ্গে, দশমী 'সিন্দুর খেলা'র সাথে সমার্থক। বিবাহিত নারীরা একে অপরের উপর সিন্দুর লাগান, যা वैवाहिक সুখের প্রতীক। গুজরাটে, উৎসবটি নবরাত্রির শেষ দিনের সাথে মিলে যায়, যেখানে লোকেরা গরবা নৃত্যে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে, কর্ণাটকে, মহীরূপ দশেরা তার জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রার জন্য বিখ্যাত।
আঞ্চলিক উদযাপন
মহারাষ্ট্রে, লোকেরা সদিচ্ছার প্রতীক হিসেবে অপ্তা গাছের পাতা আদান-প্রদান করে। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে, রাবণের প্রতিমা পোড়িয়ে লর্ড রামের বিজয়ের চিত্রণ করা হয়। প্রতিটি অঞ্চল উৎসবগুলিতে নিজস্ব স্বাদ যোগ করে।
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
উৎসবটির সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে এবং ভারতের বিচিত্র ঐতিহ্য প্রদর্শন করে। উদযাপনগুলি ভক্তি এবং আনন্দের মিশ্রণ প্রতিফলিত করে, লোকেদের তাদের পটভূমি নির্বিশেষে একত্রিত করে।
উপসংহার
দশমীর উদযাপন ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন রীতিনীতি দেশের বৈচিত্র্যকে স্পষ্ট করে, একই সময়ে ঐতিহ্যের জন্য ভাগাভাগি আনন্দ এবং ভক্তিতে লোকেদের একত্রিত করে।