পশ্চিম মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগর পুজো সেরা: পুজোর থিমে শিল্প ও সৃজনশীলতার প্রতিফলন

পশ্চিম মেদিনীপুরে এবারের দুর্গাপুজোয় সেরা পুজোর খেতাব পেল রবীন্দ্রনগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব। মন্ডপ সজ্জা ও প্রতিমার সৃজনশীলতায় নজর কাড়ছে জেলার বিভিন্ন পুজো কমিটি।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিম মেদিনীপুরে এবারের দুর্গাপুজো ভিন্ন এক উৎসবের রূপ নিয়েছে। জেলা জুড়ে বিভিন্ন পুজো কমিটি তাদের মন্ডপ ও প্রতিমা সজ্জায় অনন্য সৃজনশীলতা প্রদর্শন করেছে। এই বছর বিশেষভাবে সেরা পুজোর খেতাব পেয়েছে রবীন্দ্রনগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব, যা জেলার সেরা হিসেবে মনোনীত হয়েছে।

publive-image

এই পুজোর বিশেষত্ব হল, যারা মন্ডপ তৈরি করেন এবং প্রতিমার মূর্তি গড়েন, তারাই এবারের পুজো উৎসর্গ করেছেন। জেলা সদর শহর মেদিনীপুর থেকে শুরু করে ঘাটাল ও সবংয়ের বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোগে মন্ডপ সজ্জা ও প্রতিমার সৌন্দর্য অবাক করে দিচ্ছে। কিছু পুজো মন্ডপ টিন ও কাপড়ের ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে, আবার অন্যদিকে তুলোর মাধ্যমে সজ্জিত হয়েছে। একদিকে, রাঙামাটি পুজো মন্ডপ সাজিয়েছে প্লাস্টিকের ঝুড়ি ও টুনি বাল্বের সাহায্যে, অন্যদিকে ঘাটালের কৃষ্ণ মন্দিরের মন্ডপ বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে মন্ডপ সজ্জায় দেখা যাচ্ছে অভিনবত্বের ছোঁয়া।

publive-image

publive-image

এছাড়া, জেলা জুড়ে উমাকে বরণ করতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া যতই অনুকূল থাকুক, উৎসব প্রেমী বাঙালির উদ্দীপনা কিন্তু থেমে নেই। কখনো বৃষ্টি, কখনো হালকা রোদ; এই সবকিছুকে উপেক্ষা করে তারা দেবী দর্শনের জন্য প্রহর গুনছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিটি কোণে দুর্গা দশভূজার এই উৎসব রঙিন আলোর রোশনাইয় মেতে উঠেছে। শহর ও গ্রাম উভয়েই ভরে উঠেছে মানুষের উৎসাহ, আনন্দ এবং ধর্মীয় আবেগে। পুজোর এই পরিবেশ সকলের মনে নতুন আশা ও উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলেছে, এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়েছে।

publive-image

এই বছর, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুজো কমিটিগুলি শুধু পুজোর আয়োজনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তারা সম্পূর্ণ সমাজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করেছেন। তাদের এই সৃজনশীলতা ও উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়, যা আগামী দিনগুলিতে বাঙালির দুর্গাপুজোর আনন্দকে আরও রাঙিয়ে তুলবে।