নিজস্ব প্রতিবেদন : ভূত চতুর্দশী, যা কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়, একটি বিশেষ হিন্দু উৎসব। এটি প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি মূলত মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পালন করা হয় এবং কালীপুজোর পূর্ববর্তী দিন হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
এ বছর ভূত চতুর্দশী তিথি ৩০ অক্টোবর দুপুর ১:১৫ মিনিটে শুরু হচ্ছে এবং ৩১ অক্টোবর দুপুর ৩:৫২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এর পরেই অমাবস্যা শুরু হবে, যা কালীপুজোর দিন হিসেবে পালিত হয়। উদয় তিথি অনুযায়ী, এই বছর ভূত চতুর্দশী কালীপুজোর দিনই পালন করা হবে।
ভূত চতুর্দশী উপলক্ষে মৃত আত্মাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ দিন বিশেষ করে পরিবারে মৃত সদস্যদের স্মরণ করা হয় এবং তাদের জন্য পুজো করা হয়। অনেকেই এই দিন ১৪টি বাতি প্রজ্বলন করেন, যা আত্মাদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক। ১৪ প্রকার শাক-সবজি খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে, যা কেবল খাদ্য উৎসর্গ করার জন্য নয়, বরং জীবনের প্রাচুর্য এবং সবুজের প্রতি শ্রদ্ধারও প্রতীক।
ভূত চতুর্দশী পালন করার সময় পরিবারের সদস্যরা মৃত আত্মাদের উদ্দেশ্যে পূজা করেন, আলাদা করে তাদের নাম উল্লেখ করে প্রার্থনা করেন। ১৪টি বাতি প্রজ্বলন করে একটি প্রদীপ স্থাপন করা হয়। এছাড়াও, ১৪ প্রকার শাক-সবজি নিয়ে বিশেষ ভোজ প্রস্তুত করা হয়, যা সবাই একত্রে খায়। পরিবারে মৃত সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তাদের জীবনকথা স্মরণ করা হয়।
ভূত চতুর্দশী একটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক উত্সব, যা মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপায়। এটি কালীপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার কারণে এই দিনটি আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, ধর্মীয় রীতির পাশাপাশি এটি পারিবারিক বন্ধন এবং ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটায়।