নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার সাঁতরা বাড়ির বড় বৌমা হীরাবালা সাঁতরা মা কালীর রূপে পূজিত হন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার শাশুড়ি পূজিতা হয়ে আসছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম। মা মুণ্ডমালিনী রূপে তাঁকে পূজা করা হয়, যেখানে মূর্তির পরিবর্তে জীবন্ত বৌমাকে দেবী রূপে বসানো হয়।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, এক পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তিপূজা না করে মানবীকেই দেবী হিসাবে পূজার নির্দেশ পান। সেই থেকে পরিবারের বড় বৌমাকে পূজার নিয়ম চলে আসছে। হীরাবালা সাঁতরা গত ৩৯ বছর ধরে এই রীতি পালন করছেন। পুজোর সময় তাঁকে গলায় রক্তজবা এবং কপালে লাল চন্দন দিয়ে সাজানো হয়। পূজোর সময় হীরাবালা দেবীর শরীরে মা কালীর ভর প্রাপ্ত হন এবং দর্শনার্থীরা তাঁর পূজা দেখতে ভিড় করেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের শতাব্দী প্রাচীন বুড়াকালী মাতার মন্দিরেও কালীপূজোর প্রস্তুতি চলছে। সেখানে পুজোর সময় আলোকসজ্জা করা হবে, এবং কিছু পুরোনো রীতি বজায় রেখেই এবছরও পুজো অনুষ্ঠিত হবে।