নিজস্ব সংবাদদাতা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবী চৌধুরানী উপন্যাসে স্থান পেয়েছিল এই কালীপুজোর কথা। যুগ যুগ ধরে নানান ইতিহাসের সাক্ষী নিয়ে দেবী চৌধুরানী মায়ের পিঠস্থান রয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়িকে বলা যায় উত্তরের শক্তিপীঠ। তবে অন্যান্য মন্দির এবং থিমের কারুকার্যের মধ্যেও এক বিশেষ ইতিহাসের ধারা নিয়ে রয়েছে এই দেবী চৌধুরানী মন্দির।
মন্দিরের পাশেই রয়েছে শ্মশান। তাই অনেকে এই দেবী চৌধুরানী মন্দিরকে ‘শ্মশান কালী’র মন্দির বলে থাকেন। প্রায় ৩ শতাধিক বছরের পুরনো এই দেবী চৌধুরানী মন্দির। জলপাইগুড়ি গো শালা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দিরের পূজার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সকাল থেকেই।
তিথি মতে এখন চলছে চতুর্দশী। তার মাঝেই দেবীকে সাজানোর কাজ চলছে জোর কদমে। ভক্তদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। এই দিন দেবীকে বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। ভোগের মধ্যে রয়েছে বোয়াল মাছ, শোল মাছ। তার সাথে আবার মদ নিবেদন করা হয় দেবীকে।
ইতিমধ্যেই ভোগের সরঞ্জাম সাজিয়ে তুলেছেন মন্দিরের পুরোহিত। মাকে ১৫১ টি মালসায় ভোগ দেওয়া হয় আজকের দিনে। অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দিরের মতন এখানে রয়েছে বলিপ্রথা। দেবীকে সন্তুষ্ট করতে মন্দিরে পাঠা বলি দেওয়া হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম হয় প্রতিবছর এই পুজোয়। ইতিমধ্যেই ভক্তরা এসে দিয়ে গিয়েছেন তাদের নৈবেদ্যর ডালা। আর এরপরই শুরু হবে বিশেষ পুজো।