নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ মেদিনীপুর শহরে হাতির প্রবেশ আটকাতে এবার বৈদ্যুতিক ফেন্সিং ব্যবহার করবে বন দফতর। এর আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় লোকালয়ে হাতির প্রবেশ আটকাতে এর ব্যবহার হয়েছে। তাতে সাফল্যও মিলেছে। এবার সেই মডেল কার্যকরী হচ্ছে মেদিনীপুর বনবিভাগে। মেদিনীপুর শহর ও শহরতলী এলাকাতে হাতি যাতে না ঢুকতে পারে তার জন্য ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং। মেদিনীপুর সদর ব্লকের লোহাটিকরীর কংসাবতী নদীর পাড় থেকে ফুলপাহাড়ী পর্যন্ত ঘেরা থাকবে। বন দফতর জানিয়েছে, ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া থেকে চাঁদড়ার জঙ্গলে প্রবেশ করে হাতির পাল। সেখান থেকে চলে আসে মেদিনীপুর শহরতলি গোপগড়ে। অনেক সময় স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে হাতির পাল ফুলপাহাড়ী হয়ে মেদিনীপুর শহরের অভিমুখে চলে যায়। হাতির পালকে আটকাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে অভিজ্ঞ দুই যুবক এসেছেন। তারা এর আগে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এই ধরণের কাজ করেছেন। তাদের দাবি, এর ফলে হাতি আটকানো সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে মেদিনীপুর শহরে একটি দলছুট হাতি প্রবেশ করে আতঙ্ক তৈরি করেছিল শহরবাসীর মধ্যে। চিন্তা বাড়িয়েছিল বন দফতরের। যদিও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সম্প্রতি শহরতলির বাগডুবি এলাকায় হাতির দল এক সপ্তাহ ধরে নষ্ট করেছে জমির ফসল। বন দফতরের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। সব মিলিয়ে মেদিনীপুর শহর ও শহরতলিতে হাতির প্রবেশ আটকাতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করল বন দফতর। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক পাপন মহান্ত জানিয়েছেন, মেদিনীপুর শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায় হাতির প্রবেশ আটকাতে সোলার বা ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে ১০ কিলোমিটার জুড়ে। এতে পশুদের প্রাণহানি হবে না। আশা করা যায় এর থেকে সফলতা মিলবে।
হাতির পাল আটকাতে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং মেদিনীপুরে!
New Update