নিজস্ব সংবাদদাতা: রায়গঞ্জের কাশিবাটি এলাকায় কান পাতলে শোনা যায় এমন এক লোকগান, যেখানে উত্তর দিনাজপুরের জনপ্রিয় বাউল তরণিমোহন বিশ্বাসের কণ্ঠে উঠে এসেছে একটি দুর্ভাগ্যকর বাস্তবতা। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হওয়ার পর, প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে গেছে। এর ফলস্বরূপ, বিদ্যালয়গুলিতে শূন্যতার সৃজন হয় – যেই শিক্ষকরা চক-ডাস্টার হাতে ক্লাস নিতেন, তারা এখন নিজেদের অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামেছেন।
এই অস্থিরতার সাথে সাথে, অধিকারের লড়াইয়ে কসবা ডিআই অফিসে পুলিশের ‘লাথি’ জুটে লাঠিচার্জও সংঘটিত হয়। ঘটনাটির দৃশ্য দেখে রায়গঞ্জের বাউল শিল্পী তরণিমোহন বিশ্বাস নিজেও বসে থাকতে পারেননি। পূর্বে বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর গান ছিল প্রতিবাদের মাধ্যম – আজকে শিক্ষকচাকরি হারানোর এই বিপর্যয়ে তাঁকে গান বাঁধতে বাধ্য করে।
তরণিমোহন বিশ্বাস বলেন, “এই গানটা বাঁধার পেছনে মূল কারণ হলো পশ্চিমবাংলায় চলছে এক সাংঘাতিক অবস্থা – এতগুলি শিক্ষকের চাকরি এক মুহূর্তে চলে গেল। ছোটবেলা থেকে কষ্ট করে লেখাপড়া করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল সবাই; কিন্তু সরকারের ভুল পদক্ষেপে সেই স্বপ্ন হারিয়ে গেল, আর গোটা রাজ্যে কান্নার ঢেউ উঠল। এই বাস্তবতা দেখে কোনো লোকশিল্পী কি চুপ করে থাকতে পারে?”
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/16/1000005601-461734.jpg)
আরও, কসবা ডিআই অফিসে পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে, ঘটনা তুলনা করেন ব্রিটিশ আমলের সঙ্গে। তাঁর এই বক্তব্যে শিক্ষকচাকরি হারানো, প্রশাসনিক দুর্নীতি ও জনগণের ব্যথা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।