দলছুট দাঁতাল হাতির আতঙ্ক চন্দ্রকোনায়

author-image
Harmeet
New Update
দলছুট দাঁতাল হাতির আতঙ্ক চন্দ্রকোনায়


দিগ্বিজয় মাহালী, চন্দ্রকোনা : দলছুট দাঁতাল হাতির আতঙ্ক চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে। হুলা বানিয়ে গ্রাম ও ফসল রক্ষায় বনদফতরের সাথে হাত লাগিয়েছে গ্রামবাসীরা।


গত শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ধামকুড়িয়া বিটের জঙ্গলে একটি দলছুট দাঁতাল হাতি প্রবেশ করে। বর্তমানে সেই হাতি রয়েছে ধামকুড়িয়া বিটের পানশিউলি জঙ্গলে। আর ওই জঙ্গল লাগোয়া বসবাস পানশিউলি গ্রামের বাসিন্দাদের। জঙ্গলের ধারেই রয়েছে সদ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি সামলে লাগানো আলুর চাষ। শনিবার রাতে একটি দলছুট দাঁতাল হাতি আড়াবাড়ি জঙ্গল থেকে গড়বেতার আঁধারনয়ন হয়ে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটের পানশিউলি জঙ্গলে প্রবেশ করে। রবিবার বিকেল থেকেই ওই দাঁতালের তান্ডব শুরু হয়েছে বলে দাবি জঙ্গল লাগোয়া পানশিউলি গ্রামের বাসিন্দাদের। সূর্য ডোবার আগেই ওই দলছুট দাঁতাল হাতি পানশিউলি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আলু জমিতে নেমে তা ক্ষতি করছে। ইতিমধ্যে ওই দাঁতালের তান্ডবে পানশিউলি আইসিডিএস কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাতে ওই গ্রামে ঢুকে ধান খেয়ে নষ্ট করেছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। পানশিউলি গ্রামের কাশীনাথ সিং নামের এক ব্যক্তির কয়েক বিঘা আলু জমি মাড়িয়েছে দলছুট ওই দাঁতাল হাতি এমনই তার অভিযোগ। দলছুট ওই দাঁতালটিকে বাগে আনতে এবং গ্রামবাসীদের আত্মরক্ষায় ইতিমধ্যে ধামকুড়িয়া বিট অফিসের তরফে গ্রামবাসীদের হুলা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। বনদফতরের সাহায্যে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে হুলা তৈরি করে গ্রাম পাহারা ও ফসল রক্ষায় নেমেছে। বনদফতরের তরফে দলছুট ওই দাঁতালটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে বলে জানা যায়। চন্দ্রকোনা রেঞ্জের রেঞ্জার তমাল কুমার মুখার্জি জানিয়েছেন, "আজই হাতিটিকে ড্রাইভ করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।"