বাংলাদেশে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি পালন

author-image
Harmeet
New Update
বাংলাদেশে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি পালন

 হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ শারদীয় দুর্গোৎসবের পরপরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি ও শ্যামাপূজা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবটি কালীপূজা নামেও পরিচিত। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশ জুড়ে এই পূজা উদযাপন করা হয়েছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত কালীপূজা বা শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, শ্যামা দেবী হলেন শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভক্তের জীবনে অবারিত কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে শ্যামা মায়ের আগমন ঘটে। বৃহস্পতিবার জননীরূপে বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হয়েছে মহাশক্তিরূপী ত্রিনয়নী দেবী শ্যামা।

বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের বাড়িতে, মন্দিরে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষার প্রতীকী আলোকবর্তিকা এ দীপাবলি উৎসব বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও পুরান ঢাকার অনেক এলাকায় মণ্ডপে বেশ ঘটা করে শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন। তবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।