নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিগত দুই বছর ধরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে আবার কখনও কমছে। এর মধ্যেই আবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ''মারবার্ক'' ভাইরাস। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। জুলাই মাসের শুরুতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন দুইজন। পরে এই দুজনের অবশ্য মৃত্যুও হয়েছিল। এই দুই রোগীর মধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর, বমি, বমির ভাবসহ নানা উপসর্গ দেখা যায়। মারবার্গ ভাইরাস ডিজিজ (MVD), পূর্বে মারবার্গ হেমোরেজিক ফিভার ( Marburg haemorrhagic fever) নামে পরিচিত ছিল। মারবার্গ গুরুতর অসুস্থতা ডেকে আনে। ৮৮ শতাংশ মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে ঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে রোগী সুস্থও হয়ে উঠতে পারেন। মৃত্যুর হার নির্ভর করে ভাইরাসের স্ট্রেন এবং চিকিৎসার উপর।
মারবার্গ ভাইরাস রোগ প্রথম ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ এবং ফ্রাঙ্কফুর্টে (Marburg and Frankfurt) ছড়িয়ে ছিল। তারপর তা ছড়ায় সার্বিয়ার বেলগ্রেডে। মারবার্গ এবং ইবোলা ভাইরাস উভয়ই Filoviridae family (filovirus) র। উভয় রোগই বিরল এবং মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি। সে-সময় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এই ভাইরাস থেকে সাবধানতা অবলম্বন করার কিছু উপায় ডাক্তাররা বলেছেন। মারবার্গ ভাইরাস রোগে অসুস্থ বা মারা গেছেন এমন ব্যক্তির শরীরের তরল দ্বারা দূষিত বস্তুর মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে, যেমন কাপড়, বিছানা, সূঁচ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম। মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য আক্রান্ত হতে পারে । তাই দূরত্ববিধি কঠোর ভাবে মানতে হবে। সেই সঙ্গে কঠোর সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে।