অগ্নিমূল্য বাজার, ছ্যাঁকা সাধারণ মানুষ

author-image
Harmeet
New Update
অগ্নিমূল্য বাজার, ছ্যাঁকা সাধারণ মানুষ

হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজার নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তারপরও ঢাকার বাজার লাগামহীন। নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে।


বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে সব ধরনের নিত্যপণের দাম বৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে পারছে না শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে না পেরে কেউ কেউ খাবারে মাছ-মাংস কমিয়ে হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছেন। আবার দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের ডিম, ডাল জোটানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এর প্রভাবে মাছ-মাংসের বাজারে ক্রেতা কমেছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।


শনিবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, বাড্ডা কাঁচাবাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডাল, আটা, ডিম, সবজি ও মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামই চড়া। পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া ছাড়া ২০০ টাকা কেজির নিচে বাজারে কোনো মাছ নেই। বাজারে যেসব রুই-কাতলা মাছ পাওয়া যায়, সেগুলোর ওজন দেড় কেজি থেকে তিন কেজির বেশি। ফলে রুই-কাতলা মাছ কেনার সামর্থ্য অনেকের নেই। ছোট মাছের মধ্যে কাঁচকি ৪০০ টাকা ও মলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজি। দেশি মুরগির কেজি ৫৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। খাসির মাংস ৯০০ টাকা। সব ধরনের সবজির দামও চড়া। সংসারের ব্যয়ের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে ক্রেতারা এখন বাজার করায় কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করছেন। আগে যে ক্রেতা কেজি হিসেবে পেঁয়াজ, রসুন, ডাল ও সবজি কিনতেন, তাদের মধ্যে অনেক ক্রেতাই এখন কেজি হিসেবে পণ্য না কিনে অল্প পরিসরে কিনছেন। যারা আগে বড় মাছ কিনতেন, তারা তুলনামূলক কম দামে ছোট মাছ কিনছেন। খাসির মাংস না কিনে মুরগির মাংস কিনছেন।