হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ ইউরোপ সহ অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের ঘটনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ভাইরাল সংক্রমণজনিত এই রোগটি পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকায় সাধারণত সবচেয়ে বেশি দেখা গেলেও এবার সেই গণ্ডি পেরিয়েছে। রবিবার পর্যন্ত ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভাইরাস মাঙ্কিপক্স। নতুন ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন সারাবিশ্ব। এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি দেশের বন্দরে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বাংলাদেশেও এয়ারপোর্ট, ল্যান্ড পোর্ট সহ সমস্ত বন্দরে সতর্কতা জারি করেছে। সন্দেহভাজন কেউ বাংলাদেশে গেলে তাকে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত তাকে সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনদের নতুন ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। বিশেষজ্ঞদের মতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আদ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। তারপর একসময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে রোগটি। মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে-মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে। মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।