বাংলাদেশের বাজারে মার্কিন ডলারের দামে বাড়ছে অস্থিরতা

author-image
Harmeet
New Update
বাংলাদেশের বাজারে মার্কিন ডলারের দামে বাড়ছে অস্থিরতা

হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশের বাজারে মার্কিন ডলারের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। ঢাকায় এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে বুধবার খুচরা ডলার ১০২ টাকা থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সোমবারও ডলারের দর ছিল ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা। এক্সচেঞ্জ হাউজের মালিকরা চাহিদা ডলার পাচ্ছে না; চাহিদা আছে, ডলার নেই। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন বিদেশ যাচ্ছে। বর্তমানে নগদ ডলারের প্রচুর চাহিদা। ব্যাংকগুলোতেই ডলারের সংকট। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ গত সোমবার মার্কিন ডলারের দর বেঁধে দিয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু তাদের বেঁধে দেওয়া এ রেট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মানছে না। এখন ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলারের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা। আবার কোনো কোনো ব্যাংক ৯৫/৯৬ টাকাও নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশে ব্যাপক হারে আমদানির চাপ বেড়েছে। ফলে আমদানির দায় পরিশোধে বাড়তি ডলার লাগছে। কিন্তু সেই তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়েনি। ফলে ব্যাংক-ব্যবস্থা ও খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দি‌য়ে‌ছে। যার কারণে টাকার বিপরীতে বাড়ছে ডলারের দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না ডলার।


তবে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া রেটের চেয়ে বাজারে বেশি দামে ডলার বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বেশি, এ কারণে ডলারের ওপর চাপ প‌ড়ে‌ছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগু‌লোর চা‌হিদার বিপরী‌তে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে। যখনই প্রয়োজন আরও ডলার সরবরাহ করা হবে।