রানী শিরোমণি কে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব: ব্রাত্য বসু

৪০ তম রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত শালবনী নেতাজি স্টেডিয়ামে।

author-image
Debjit Biswas
New Update
Bratya Basu

নিজস্ব সংবাদদাতা : ৪০ তম রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত শালবনী নেতাজি স্টেডিয়ামে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত হন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল, মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাত ও জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিভিন্ন আধিকারিক ও বিধায়ক গণ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাথমিক স্তরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজ্য স্তরের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় কর্মী সভার পর কোর কমিটিতে ব্রাত্য বসুকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী যেকোনোও সময় যে দায়িত্ব দেবে আমরা তা মাথা নত করে মেনে নেব। যদি বলেন পার্টি অফিস ঝাঁট দিতে তাই করবো '' সেই সঙ্গে তিনি বলেন ''মানস দাও হয়তো সেটাই করবেন।'' পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ''আগের থেকে জঙ্গলমহলের পরিবেশ অনেকটাই ভালো হয়েছে। এখান থেকে অনেকে ফুটবলে চান্স পেয়ে কলকাতা এবং দেশের হয়ে খেলছে। আমরা চাইবো একেবারে জঙ্গলমহল এলাকার থেকে আগামী দিনে আরো খেলোয়াড় উঠে আসবে রাজ্যস্তরে।'' ব্রাত্য বসু বলেন, ''রানী শিরোমণিকে পাঠ্য সিলেবাসের অন্তর্ভুক্তি যাতে করা যায়, সে বিষয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে সিলেবাস কমিটির কাছে পাঠাবো। এ বিষয়ে আমাকে সবং-এর বিধায়ক তথা মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়াও বেশ কয়েকবার আবেদন জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আমার দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও বিষয়টি বেশ কয়েকবার উপস্থাপন করেছিলেন। আমি সর্বতোভাবে চেষ্টা করব যাতে মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত চুয়াড় বিদ্রোহের সূচনাকালে রানি শিরোমণির গড়কে বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।'' অন্যদিকে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, ''জঙ্গলমহলে আগের থেকে অনেক খেলাধুলার মান উন্নয়ন ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিয়েছেন। পাশাপাশি যুব দপ্তরের পক্ষ থেকেও বিশেষ ফান্ড দিয়ে অনেক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে ইনডোর স্টেডিয়ামও তৈরি করা হয়েছে।''