বাঁকুড়ায় সিপিএমের জেলা সম্পাদক হলেন দেবলীনা হেমব্রম

দেবলীনার লড়াকু মুখ কি চাঙ্গা করতে পারবে জঙ্গলমহলের দলীয় সংগঠন? নিজেদের পক্ষে কি আদিবাসী ভোট ব্যঙ্ক টানতে পারবে সিপিএম? আশায় বুক বাঁধছে এলাকার বাম নেতৃত্ব।

author-image
Jaita Chowdhury
আপডেট করা হয়েছে
New Update
WhatsApp Image 2025-01-24 at 17.02.00

নিজস্ব সংবাদদাতা: সিপিএমের (CPIM) বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হলেন আদিবাসী মহিলা দেবলীনা হেমব্রম (Deblina Hembrom)। দেবলীনার লড়াকু মুখ কি চাঙ্গা করতে পারবে জঙ্গলমহলের দলীয় সংগঠন? নিজেদের পক্ষে কি আদিবাসী ভোট ব্যঙ্ক টানতে পারবে সিপিএম? আশায় বুক বাঁধছে এলাকার বাম নেতৃত্ব।  কটাক্ষ তৃণমূলের অচল আধুলির দাম নেই।

সিপিএম এর ইতিহাসে জেলা সম্পাদক পদে আদিবাসী মহিলা নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। এই প্রথম বাঁকুড়া জেলায় সেই নজির গড়লেন দেবলীনা হেমব্রম। ১৯৯৬ সালে প্রথম রানীবাঁধ বিধানসভা থেকে সিপিএমের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন দেবলীনা হেমব্রম। ২০০১ সালে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ২০০৬ সালে আবার রানীবাঁধ বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। ২০১১ সালে সারা রাজ্যে পরিবর্তনের ঝোড়ো হাওয়াতেও দেবলীনা হেমব্রম নিজের রানীবাঁধ বিধানসভায় জয়ী হন। 

রাজ্যে পালাবদলের পর বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে সিপিএম এর লড়াকু আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।  ব্রিগেডে দেবলীনা হেমব্রমের জ্বালাময়ী বক্তব্য তাঁকে রাজনৈতিক মহলে অন্যতম লড়াকু মুখ করে তোলে। দলের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হওয়ার পাশাপাশি তাঁকে রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। সিপিএমের নিয়ম অনুযায়ী, ৯ বছর ধরে দায়িত্ব সামলানোর পর গতকালই সেই পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হয় সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতিকে। 

উল্লেখ্য, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি বড়জোড়ায় আয়োজিত সিপিএম এর ২৪ তম জেলা সম্মেলনে বাঁকুড়া জেলার সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন দেবলীনা হেমব্রম। আদিবাসী মহিলা হিসাবে নজিরবিহীনভাবে এই দায়িত্ব পাওয়াকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ দেবলীনা। তাঁর দাবি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কেউ নন।  কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে এবং বঞ্চনা করছে তার বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষকে নিয়ে একত্রিত ভাবে দলগতভাবে লড়াই জারি থাকবে। দেবলীনা হেমব্রম জেলা সম্পাদক হওয়ায় জঙ্গলমহলে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন দলীয় নেতৃত্বও। অচল আধুলির কোন দাম নেই, কুমারটুলির মডেল আনলেও সিপিএম ঘুরে দাঁড়াবে না কটাক্ষ বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর।