নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান মোড়ে অবস্থিত একটি শপিং মলে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ ঘিরে চলতে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর আতঙ্কিত মল-কর্মী, আধিকারিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন, আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিত নাশকতাই কি চালানো হল?
সূত্রের খবর, ওয়াকফ আইনের সংশোধনের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই সামশেরগঞ্জ ও সুতিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই উত্তেজনারই রেশ থেকে শনিবার সকাল থেকে ফের অশান্তি ছড়ায় ধুলিয়ানে।
অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলাকালীন একদল উন্মত্ত জনতা ঢুকে পড়ে ধুলিয়ানের একটি বড় শপিং মলে। একাধিক বিভাগে হামলা চালিয়ে শুরু হয় লুটপাট ও ভাঙচুর। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, কিন্তু ততক্ষণে মলের ভেতরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে গিয়েছে।
আচমকা এই হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়েন মলের কর্মী ও আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, এই ঘটনার জেরে প্রশ্ন উঠছে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়েও।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/12/6venJMUyBYROetjRQIuG.JPG)
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই শপিং মল ছাড়াও আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ধুলিয়ান মোড় সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং প্রতিবাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই উঠছে বড়সড় প্রশ্ন।