নিজস্ব সংবাদদাতা: মালদহে তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে ৪। আটক আরও এক। ধৃতদের এক জন বিহারের বাসিন্দা, অপরজনের বাড়ি ইংরেজবাজারে। মালদহ থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, এই ৪ জনের মধ্যে ২ জন সুপারি কিলার। খুনের ঘটনা ঘটার আগে রেইকি হয়েছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ। মৃত্যু নিশ্চিত করতেই মাথায় শ্যুট করা হয়েছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
গতকালই তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “এই খুনের পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। পেছনে বড় মাথা আছে। দ্রুত তদন্ত করে সেই ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে হবে”।
বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূল কাউন্সিলর ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকারকে গুলি করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশকে তোপ দেগেছেন খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পরই ফিরহাদ হাকিমকে মালদহে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও সামনে আসে।
তাতে দেখা যায়, দোকানের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন দুলাল সরকার। দুই যুবক মুখে মাফলার পেঁচিয়ে সামনে আসেন। বন্দুক ছিল তাঁদের হাতে। তা দেখে দৌড়ে দোকানের ভিতর ঢুকে যান তৃণমূল নেতা। ওই দুই যুবকও গুলি চালাতে চালাতে দোকানের ভিতর ঢুকে পড়েন।
দোকানের ভিতরেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেতাকে। এই ঘটনায় মালদা জুড়ে উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সর্বত্র।