হাতির পালের তান্ডব, জমি পাহারায় জ্বলছে মশাল, চিন্তিত কৃষকরা

চিন্তিত কৃষকরা l

author-image
Adrita
New Update
33r

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দ্রকোনা: আড়াবাড়ির জঙ্গল থেকে আনন্দপুর হয়ে গড়বেতার আঁধারনয়ন বিটে প্রবেশ করে ৫০-৬০ টি হাতির দল। এই হাতির দলটি গত শুক্রবার মধ্যরাতে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটে প্রবেশ করে। গত দু'দিন ধরে ৫০-৬০ টি হাতির পাল চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিটের একাধিক জায়গায় দাপিয়ে বেড়ায়। শনিবার সন্ধ্যার হাতির পাল ধামকুড়িয়া বিটের পানশিউলি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ধামকুড়িয়া, গোপীনাথপুর, রাজবাঁধ, আমশোল হয়ে গড়বেতার কামারখালী জঙ্গলে প্রবেশ করে। জানা গিয়েছে, রাতে পুনরায় হাতির পাল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের যাদবনগর, ভগবন্তপুর, খিরাটি হয়ে দাপিয়ে বেড়ায় কেশেডাল, ঘোষকিরা, নিত্যানন্দপুর,পাঁচামী, চৈতন্যপুর সহ একাধিক এলাকায়। 

হাতির পালটি ইশনগর,পাঁচামীতে শিলাবতী নদী পেরিয়ে নিত্যানন্দপুর, চৈতন্যপুর,ঘোষকিরা সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়িয়ে ভোররাতে ফের হাতির পালটি ফিরে আসে চন্দ্রকোনা লাগোয়া গড়বেতার কামারখালী জঙ্গলে l বর্তমানে ওই জঙ্গলে রয়েছে হাতির পালটি। যেসব এলাকায় হাতির পাল দাপিয়ে বেড়িয়েছে ওইসমস্ত এলাকায় সদ্য লাগানো আলু জমি হাতের পায়ে নষ্ট হয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমির আলু জমির চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি এলাকার কৃষকদের। পাশাপাশি শীতের মরসুমে ওইসব এলাকায় লাগানো বিভিন্ন সবজি খেয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতির পাল।

সদ্য মাঠ থেকে ধান তুলে বাড়ির খামারে গোছ করে রাখা ধান খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতির পাল। এককথায় রাতভর হাতির পালের তান্ডবে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি কৃষকদের। কৃষকদের কথায়, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে আগেই ধান চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় তা সামলে একমাস পিছিয়ে আলু চাষ করতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের। চড়া দামে রাসায়নিক সার, বীজ আলু কিনে সদ্য আলু চাষ হয়েছে আর তারমধ্যে এতসংখ্যক হাতির পাল এলাকায় ঢুকে দাপিয়ে বেড়ানোয় চরম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। হাতের পালকে অন্যত্র সরাতে না পারায় বন দপ্তরের ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসী থেকে কৃষকদের। হাতির পাল চন্দ্রকোনা লাগোয়া গড়বেতার কামারখালী জঙ্গলে রয়েছে,ফের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতির তান্ডবের আশঙ্কায় কৃষকরা।